আসন্ন হজ মৌসুমকে কেন্দ্র করে অবৈধ হাজিদের রুখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সৌদি সরকার। "পারমিট ছাড়া হজ নয়"—এই নীতির আওতায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

সম্প্রতি সৌদি জননিরাপত্তা অধিদপ্তর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায়, একটি ড্রোন সন্দেহজনক গাড়ি শনাক্ত করে যার মাধ্যমে অনুমোদনহীন হাজিদের পরিবহন করা হচ্ছিল। ড্রোনের তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দায়ীদের গ্রেপ্তার করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এসবের মধ্যে রয়েছে:

.কারাদণ্ড
.প্রতিজন অবৈধ যাত্রীর জন্য সর্বোচ্চ ১ লক্ষ সৌদি রিয়াল জরিমানা
.প্রবাসী হলে সাজা শেষে দেশ থেকে বহিষ্কার ও ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
.অপরাধে ব্যবহৃত যানবাহন জব্দের জন্য আদালতের আদেশের আবেদন

সৌদি কর্তৃপক্ষ আবারও স্পষ্ট করেছে—হজ পালনে হজ ভিসা বাধ্যতামূলক। যারা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে অবস্থান করছেন, তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। অনুমতি ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে ২০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

বিদেশি মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত ৮০টি দেশের হজ অফিস এবং ‘নুসুক হজ প্ল্যাটফর্ম’ থেকেই ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলোর মূল লক্ষ্য—হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অনুমোদিত হাজিদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল হজ পালন নিশ্চিত করা।

হাজি

ড্রোনের নজরদারিতে ধরা পড়েছে অবৈধ হাজি, সৌদিতে কড়া অভিযান

বিজ্ঞাপন