ঢাকার নদী, লেক, টিউবওয়েলের পানি ও পোশাকে 'রাসায়নিক'!

আন্তর্জাতিক দূষণকারী নির্মূল নেটওয়ার্ক (আইপিইএন) ও এনভায়রোনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে:

ঢাকার ৮টি এলাকা থেকে সংগ্রহ করা ৩১টি নমুনার মধ্যে ২৭টিতে (৮৭%) পিএফএএসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ১৮টি নমুনায় (৫৮%) বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ পিএফওএ, পিএফওএস এবং/অথবা পিএফএইচএক্সএস রাসায়নিক পাওয়া গেছে।

১৯টি নমুনায় (৬১%) পিএফএএস এর মাত্রা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্ধারিত মাত্রা অতিক্রম করেছে।

২০১৯ সালে সাভারের কর্ণতলী নদীতে পিএফএএস রাসায়নিকের মাত্রা প্রস্তাবিত ইউ সীমার ৩০০ গুণেরও বেশি ছিল।

২০২২ সালে হাতিরঝিল লেক থেকে সংগৃহীত নমুনায় পিএফওএ এবং পিএফওএএস উভয় রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে যা বর্তমানে নির্ধারিত ডাচ নিরাপদ সীমার ১৮৫ গুণ বেশি।

২০১৯ সালে সংগৃহীত চারটি কলের পানির নমুনার মধ্যে তিনটিতে পিএফএএস পাওয়া গেছে এবং খাবার পানির জন্য ইউএস নির্ধারিত পিএফওএ মাত্রা থেকেও বেশি পরিমাণে রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

নমুনার জন্য নেওয়া পাঁচটি পোশাকের মধ্যে একটিতে বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ রাসায়নিক পিএফওএ পাওয়া গেছে।

গবেষকদের মতে, পিএফএএস রাসায়নিক দীর্ঘ সময় পরিবেশে স্থায়ী হয় এবং এর সংস্পর্শে আসলে ক্যান্সারসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা।