সর্বশেষ

সারাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলন

ছেলে হত্যার বিচার চায় মারুফের বাবা

খোকসা সংবাদদাতা
খোকসা সংবাদদাতা

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪ ৬:২৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিতে নিহত মারুফ হোসেনের পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার খোকসায় মারুফের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেন তিনি।

এছাড়া মারুফ হোসেনের বাবা শরিফ হোসেনের হাতে ২৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পর শোকে পাথর হয়ে গেছেন নিহত মারুফের মা ময়না খাতুন। পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছেলের মৃত্যু সংবাদ আসার পর একবারই চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিলেন তিনি। এরপর থেকে বুকে পাথর চাপা দিয়েছেন। কোন প্রশ্নের জবাব দেন না। কেই কথা বললে শুধু তাকিয়ে থাকেন। বারংবার শুধু ছেলের থাকার ঘরের স্মৃতিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। নিহত ছেলের কক্ষে তালা দিয়ে চাবি নিজের কাছে রেখেছেন বলেও জানা যায়। মাঝে মধ্যেই ওই রুমে গিয়ে টেবিলের পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন। বাদ যায়নি ছেলের ব্যবহৃত বাইসাইকেলটিও। 


নিহতের বাবা শরিফ উদ্দিন এইমাত্রকে বলেন, “১৯ তারিখ শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে ছেলের সাথে শেষবার কথা হয়। তখনও তাদের মেসে খাবার হয়নি। এরপরে বিকাল ৫টায় ছেলের সহপাঠী তাকে ফোন দিয়ে মারুফের মৃত্যুর খবর জানায়।” 

তিনি আরও বলেন, “টাকার অভাবে সংসার আর চলছে না। আমার শরীরও খারাপ। আমার ছেলেকে যখন হারিয়েছি তখন আমি সরকারের কাছে কি চাইব আর। আমার চাওয়া পাওয়ার আর কিছুই নেই। অশ্রুসিক্ত নয়নে কথা বলে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।”



নিহত মারুফের ছোট বোন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী মাইসা বলেন, 'সন্ধ্যা নামলেই ভাইয়ের কথা বেশি বেশি মনে পড়ে। ঢাকায় যাওয়ার পর প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ভাই মাকে ফোন দিত। ভাইয়ের আর একটু পড়া ছিল, শেষ হলেই চাকরি পাবে। আমাকে অনেক পুতুল ও জামা কিনে দেবে ভাই বলতো। ভাইয়ের এই সব কথা অনেক মনে পড়ে।'



উল্লেখ্য, ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে নিহত হন মারুফ হোসেন (২০)। ১৯ জুলাই বাসা থেকে পানি কেনার জন্য বের হলে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে পিঠে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে আহত অবস্থায় লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ২০ জুলাই সকালে তার গ্রামের বাড়ি খোকসার থানাপাড়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহে জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে মারুফকে দাফন করা হয়।

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন