কক্সবাজারে আট দিনে পর্যটন খাতে ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা
রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪ ৬:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত এবং কারফিউর কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। পর্যটক না থাকায় পর্যটননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমেছে ধস।
কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল খালি পড়ে রয়েছে। বিক্রি নেই তিন হাজারের বেশি দোকান ও পাঁচ শতাধিক রেস্তোরাঁয়। সমুদ্রসৈকতের আশপাশের ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৬ জুলাই থেকে আন্দোলন তীব্র হলেও তখন কক্সবাজার শান্ত ছিল। ১৯ জুলাই কক্সবাজারে প্রথম কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশ শুরু হয়। ওই দিন সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে কক্সবাজার থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ২০ জুলাই থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৮ দিনে কক্সবাজারের পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। কারফিউ শিথিলের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, পর্যটক না থাকায় পর্যটনশিল্পে অশনিসংকেত দেখা দিয়েছে। দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে পর্যটক টানাও সম্ভব হচ্ছে না। গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি, ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। পর্যটনের পাশাপাশি মৎস্য, লবণ, শুঁটকি, শামুক-ঝিনুক, পান-সুপারি, গণপরিবহনসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায় ধস নেমেছে। ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরিভাবে কার্যকর না হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং টাকা লেনদেনে সমস্যা হচ্ছে।
ফেডারেশন অব টুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এখন শহরে কোনো পর্যটক নেই। পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস-রিসোর্ট ও কটেজ আট দিন ধরে খালি পড়ে আছে। তিন শতাধিক রেস্তোরাঁও বন্ধ। কেবল হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর হিসাব করলেও দৈনিক গড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। কারফিউ তুলে ফেললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এখন হোটেলকক্ষ ভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ বিশেষ ছাড় দিয়েও পর্যটকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁ খালি পড়ে থাকায় অন্তত ২০ হাজার কর্মচারীর বেকার সময় কাটছে। লোকসানের কারণে মালিকেরা কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও পরিশোধ করতে পারছেন না।
১৮৬ বার পড়া হয়েছে