খোকসায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ এক গৃহবধূসহ আহত-৩

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪ ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার খোকসায় হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদির বাড়িতে গভীর রাতে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরো তিন নারী। সোমবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীদের ছোড়া গুলিতে হাফিজা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। তিনি রতন আলীর স্ত্রী। আগ্নেয় অস্ত্রের গুলিতে আহত নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো হয়েছেন আহত বৃদ্ধা নাহারুন নেছা (৬২), সুরাইয়া (২২) ও হুমাইয়া নুপুর (২১) কে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গুলিবিদ্ধ হাফিজা খাতুন জানান, তিনি সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে গুলির শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে দরজা খুলতেই তার বুকে একটি গুলে এসে লাগে। তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসীরা ১০/১২ জন ছিল।
আমবাড়িয়া গ্রামে বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান হত্যা মামলার বাদি ফরিদ হাসান জানান, তার ভাইয়ের হত্যাকারী সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছে। এ মাসেই মামলাটির স্বাক্ষী শুরু হবে। মামলা প্রত্যাহার না করায় সোমবার দিনগত গভীর রাতে ১০/১২ জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে হামলা করে। তারা প্রথমেই গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার বোনের থাকার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে এলো পাথারি গুলি চালায়। তার এক বোন গুলিবিদ্ধ আহত হন। দুইজন কলেজ ছাত্রীসহ ৬/৭ জন মহিলাকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে।
নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী বলে দাবি করেন ফরিদ হাসান। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী রাজিব মোল্লা, মিন্টু, সবুজ মোল্লারা তার ভাই শাফিনের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে শাফিনকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাংশা উপজেলার হাবাসপুরে পদ্মা নদীর তীরে হত্যা করে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে মামলা করার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ তাদের উপর একাধিক বার হামলা করেছে। তিনি এ হামলার ঘটনায় মামলা করবেন।
১২৬ বার পড়া হয়েছে