নিষিদ্ধ প্রাণীর চামড়ার তৈরি বিলাসবহুল জিনিসপত্র
রবিবার, ২ জুন, ২০২৪ ১:১৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাপ, কুমির, হরিণ, বাঘ, এমনকি হাতির চামড়া - এই সকল নিষিদ্ধ প্রাণীর চামড়া দিয়ে তৈরি হয় বিলাসবহুল জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ, বেল্ট এমনকি ঘড়ির মতো পণ্য। কিন্তু আইন নিষিদ্ধ করেও এই চামড়ার কালোবাজার কীভাবে চলে এবং কারা এর ক্রেতা?
হাতির চামড়া:
সারা বিশ্বে হাতি শিকার ও এর চামড়া বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তবুও চীনের কালোবাজারে অবৈধভাবে হাতির চামড়ার ব্যবসা হয়। প্রতি বর্গফুট হাতির চামড়ার দাম ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। মিয়ানমারের চোরা শিকারিরা অবৈধভাবে হাতি শিকার করে চীনে পাচার করে।
কুমিরের চামড়া:
প্রতি বর্গফুট কুমিরের চামড়ার দাম প্রায় ২ লাখ টাকা। অভিজাত নানা ডিজাইনের ব্যাগ ও জুতা বানাতে এই চামড়া সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ সালে হংকংয়ে এলিগেটরের চামড়া দিয়ে তৈরি একটি ডায়মন্ডযুক্ত হ্যান্ডব্যাগ বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৩৮ কোটি টাকায়।
হাঙরের চামড়া:
অস্ট্রেলিয়াতে হাঙরের চামড়া দিয়ে তৈরি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বর্গফুট হাঙরের চামড়া বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১১ লাখ টাকায়। বিশেষ করে হাঙরের চামড়া দিয়ে ঘড়ি ও ব্যাগ তৈরি করা হয়।
স্টিংরে মাছের চামড়া:
এশিয়া, ওশেনিয়া ও আফ্রিকার সমুদ্র উপকূলে এই মাছ পাওয়া যায়। স্টিংরে মাছের চামড়া দূর থেকে দেখলে মনে হয় এর উপরিভাগে ছোট ছোট হীরার টুকরো বসানো আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মাছটির প্রতি বর্গফুট চামড়া বিক্রি হয় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়। স্টিংরের চামড়া দিয়ে তৈরি ঘড়ি, মানিব্যাগ, বেল্ট ও ব্যাগের দামও আকাশচুম্বী।
সাপের চামড়া:
বিভিন্ন প্রজাতির সাপের চামড়ার দাম ভিন্নভিন্ন হয়ে থাকে। অজগরের চামড়াই বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি দামে। হ্যান্ডব্যাগ, বেল্ট, ঘড়ি, জুতোসহ অত্যন্ত ব্যয়বহুল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সাপের চামড়া দিয়ে।
কারা ক্রেতা?
এই নিষিদ্ধ চামড়ার ক্রেতারা বেশিরভাগই ধনী ব্যক্তিরা যারা বিলাসবহুল জিনিসপত্রের প্রতি আগ্রহী।
তারা বিশ্বাস করে যে এই চামড়া দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
১২২ বার পড়া হয়েছে