আল্পসের কোলে বিচ্ছিন্ন গ্রাম: রোমান্টিক নাকি কঠিন বাস্তবতা?
শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইতালির আল্পস পর্বতমালার কোলে অবস্থিত কোডেরা গ্রাম। কোমের হ্রদ থেকে অনেক ওপরে অবস্থিত এই গ্রামটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও সেখানে বাস করা খুবই কঠিন। শুধুমাত্র প্রায় ২ হাজার ৬০০ সিঁড়ি ভেঙে বা হেলিকপ্টারে চড়ে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব।
এই বিচ্ছিন্ন গ্রামে মাত্র ৯ জন মানুষ পাকাপাকি বাস করেন। রেস্তোরাঁর মালিক এলেনা গুসমেরোলি ছোট সেই সমাজের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠে তিনি রেস্তোরাঁয় পৌঁছান।
হেলিকপ্টারে চেপেও সেখানে পৌঁছানো যায়। তবে প্রতিটি উড়ালের মাসুল প্রায় ৩০০ ইউরো। তাই শুধু নিজের ও গ্রামের অন্যান্যদের জন্য খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্য আনার কাজেই তিনি সেই পরিষেবা ব্যবহার করেন।
গ্রামে পৌঁছানোর কোনো পাকা রাস্তা নেই। আলপ্স পর্বতের ওপর সারা বছর ধরে বিচ্ছিন্ন এমন জনপদ আর অবশিষ্ট নেই।
গ্রামের সবচেয়ে কনিষ্ঠ বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী পিসনোলিস। তিনি পরিবর্তন চান। তিনি বলেন, "আমি রাস্তা চাই। গ্রামটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেটা প্রয়োজন। আমাদেরকে জাদুময় নিসর্গ অথবা খ্রিস্টমাসের পোস্টকার্ড হিসেবে দেখলে চলবে না।"
তার মতে, পর্যটকদের জন্য এটা এক স্বর্গরাজ্য। কিন্তু তার কাছে গ্রামটি মরে যাচ্ছে। কারণ সেখানে কীই বা করার আছে? কোনও কাজ করা যায়? একটা রাস্তা থাকলে পাথর ভাঙা যেত, কাঠ কাটা যেত। কিন্তু সেটা ছাড়া সেগুলো কীভাবে উপত্যকায় আনা সম্ভব? এখনকার মতো ঘাড়ে চাপিয়ে?
তা সত্ত্বেও পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসার টানে ডেভিস নিজের ছাগলগুলোর কাছেই থাকতে চান।
এখনও রাস্তা তৈরির কোনও পরিকল্পনা না থাকায় কোডেরা আরও বহুকাল পৃথিবীর দূর প্রান্তের এক প্রায় বিচ্ছিন্ন গ্রাম হিসেবে টিকে থাকবে।
গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা কতটা কঠিন, তা তাদের কথা থেকেই স্পষ্ট। রাস্তা তৈরি হলে তাদের জীবনযাত্রার মান কিছুটা উন্নত হতে পারে।
১৪১ বার পড়া হয়েছে