সর্বশেষ

মতামত

বিশ্ব থেকে নিপীড়ন বৈষম্য কী বিদায় হবে?

লিটন আব্বাস
লিটন আব্বাস

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সারাবিশ্বের বহু মানুষ তাকিয়ে থাকলেও আমি আপহোল্ড করি না, একারণে যে, প্রেসিডেন্ট যেই হোক ; তাদের পররাষ্ট্রনীতির বাঁকবদল হয় না, উপরন্তু দুর্বল, দরিদ্র দেশগুলোর ওপর আরও অন্যায়, দমন, নিপীড়ন চলে, শোষণের শিকার হতে হয়।

যারা সারাবিশ্বে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের গণিত শেখায়; খোদ তাদের দেশে দিনকে- দিন মানবাধিকার ও গণতন্ত্র লুণ্ঠন হচ্ছে! তাদের মূল কাজ দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধানো, জাতিসংঘকে নিয়ন্ত্রণ করা, ভেটোপাওয়ার নিয়ে যে বৈষম্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে; তা, প্রেসিডেন্টাল হয়ে থাকবে পৃথিবীর ইতিহাসে।


তাদের প্রেসিডেন্ট কমলা কিংবা ট্রাম্প যেই হোক সারাবিশ্বের গণমানুষের কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। ইউক্রেনে-রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর দখলদার ইসরায়েল আগ্রাসন কোনোদিন থামাতে চাইবে না।


মার্কিন মুলুকের কর্তৃত্ববাদ ও আধিপত্য বিস্তারই মূল পাঁয়তারা। এরা নিজেরা ভেতরে ভেতরে একধরনের গণতান্ত্রিক ফ্যালাসি ও শোষণের কাণ্ডারি। এঁদের মূল লক্ষ্য সারাবিশ্ব শাসন ও একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রাখা।

অনুন্নত বিশ্বকে পুঁজি করাই এদের মেইন রুজি।

এই নির্বাচন কেনো, কোনো নির্বাচনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক পরিবর্তন আসবে না; কারণ তৃতীয় পক্ষকে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে দেবে না! এরা দুনিয়াকে ডেমোক্রেসি কালচারের কথা বলে বলে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল ডি স্যাকে তাবৎ দুনিয়াকে আবদ্ধ করে রাখতে চাইবে। সাথে বংশীবাদকেরাতো আছেই।


ধনিক, বণিক, সৈনিক দিয়ে সাধারণ জনগনের উপকার কোনোকালে স্টাবল করেছে, এইরকম নজির কিংবা প্রিসিডেন্ট আছে? তাই তাদের ওপর আপহোল্ড কিংবা বিহোল্ড হওয়া মানেই বোকার স্বর্গে বসবাস করা। এদের কাছে উন্নতি হলো দুর্নীতির মহারণন, স্মার্ট সিডিউমেন্টই এদের পয়মন্ত।

খেয়াল করলে দেখা যায়, আমেরিকাতে যে হারে খুন, ধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এবং বর্ণ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তার ইতিহাসও ভারী ও মজবুত।

সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ললিপপ খাওয়ার উপকারিতা দেখি না!


এখন যদি সভ্য পৃথিবীর কথা বলেন, তাহলে বিস্তর প্রশ্ন আছে!

সভ্য দুনিয়ার কোন দেশ মারণাস্ত্র কেনো তৈরি করে, বিপণন বা রপ্তানী করে?

কেনোইবা, পারমানবিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘৌড়দৌড় করে? এই একটি সরল প্রশ্নের উত্তর কী ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের কারও কাছে আছে?!


উত্তর আমাদের কাছে কিছু আছে, সারা পৃথিবীর ২শতাধিকের কিছু বেশি দেশ আছে, যেখানে লোকসংখ্যা ৮শোকোটির মতো। এইসমস্ত দেশগুলির মধ্যে মোস্ট পাওয়ারফুল কান্ট্রি আছে সম্ভবত ২০টির অধিক দেশ হবে, যারা সামরিক শক্তি ও অর্থনীতিতে মাতুব্বরে দেশ। সারা পৃথিবীর ১০% দেশ পৃথিবী শাসন করে, অথচ বিশ্বের এক চতুর্থাংশ দৈনিক না খেয়ে ঘুমায়। আর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দেশে লক্ষ- কোটি মানুষেরা বাস্তুচ্যুত হয়ে যাচ্ছে এবং অর্ধলক্ষাধিকের বেশি মানুষেরা যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছে! তাঁদের পরিবার বিপন্ন। যুদ্ধে নারী-শিশুদের বেশি হত্যা করা হচ্ছে, এরাই নিরীহ। আর এই সব, সভ্য দুনিয়ার সেরা দেশ হিশেবে যারা দাবী করে, তাদের ইশারায় ও নাকের ডগা দিয়ে এইরকম নৃশংস নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে; তারা এব্যাপারে দারুণ কৌসুলি! তাদের এই কৌশল আজকের দুনিয়ার জনগণ পরিস্কার বোঝে ও জানে। কারণ এরাও গণিতীয় শাস্ত্রে কম পাকা নয়।


ইতিহাস বলে, এরচেয়েও শক্তিশালী ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের বিলীন হয়েছে, দূর নিকটে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন, ওসমানীয় শাসনের অবসান হয়েছে।

অতএব মার্কিন সাম্রাজ্য বলি, বা, আর যতো প্যারালাল সাম্রাজ্য অধিকার করে থাকা দেশগুলি আছে; এসবেরও পতন যখনতখন ঘটে যেতে পারে। কারণ, কোনকিছু চিরস্থায়ী নয়।

মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র
নির্বাচন

২৭৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
মতামত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন