বদনজর থেকে বাঁচার আমল জেনে নিন
শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ২:৩৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসুল (সাঃ) একবার অসুস্থ হয়েছিলেন। তখন জিবরাইল (আঃ) নবীজি (সাঃ)-এর কাছে এসে বললেন, "ইয়া মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন?"। নবীজি (সাঃ) বললেন, "হ্যাঁ"। জিবরাইল (আঃ) তখন এই দোয়াটি পড়লেন:
জীবনে চলার পথে আমাদের সবার অনেক দৃষ্টির সম্মুখিন হতে হয়। প্রতিদিনের এই দৃষ্টিতে খারাপ ভালো উভয়ই রয়েছে। এমনকি সবসময় খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাকালেই যে ক্ষতি হয় এমন নয়। অনেকসময় ভাল দৃষ্টির খারাপ প্রভাবও পড়তে পারে আপনার ওপর।
কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে এসব বদ নজর থেকে চাইলে দূরে থাকা যায়। রাসুল (সাঃ) এর থেকে বাঁচার আমল ও দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন।
"বিসমিল্লাহি আরকিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইউজিকা মিন শাররি কুললি নাফসিন আউ আইনিন হাসিদিন, আল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরকিকা"।
অর্থ: "আল্লাহর নামে আপনাকে ফুঁ দিচ্ছি; যেসব জিনিস আপনাকে কষ্ট দেয়, সেসব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদ নজর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন; আল্লাহর নামে আপনাকে ফুঁ দিচ্ছি।" (মুসলিম ৫৫১২)
এই দোয়াটি পড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বারবার ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ, ধীরে ধীরে বদ নজর কেটে যাবে।
বদনজর সম্পর্কিত আরও কিছু দোয়া ও আমল:
"বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।"
অর্থ: "আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।"
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবে, সকাল হওয়া পর্যন্ত তার ওপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার ওপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না।" (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার পড়ে ফুঁ দেওয়া।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত: "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (সুরা ফালাক ও নাস অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ভাষায়) জিন ও বদ নজর থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
১৩১ বার পড়া হয়েছে