রাউজানেও দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
বৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহত অন্যরা হলেন- বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহ-সভাপতি মো. ইসমাইল, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। সবাই বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে করে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগ এলাকায় বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন, যার মধ্যে একজন মারা যান।
রাউজান উপজেলা বিএনপি সভাপতি জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা শেষে পাঁচ নেতাকর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা অতর্কিতে গুলি চালিয়ে তাদের আহত করে।
তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইস্তিয়াক চৌধুরী অভি প্রকাশের নেতৃত্বে আলতাফ চৌধুরী টুটুল, জনি চৌধুরীসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এ হামলায় জড়িত।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তবে কাউকে পাইনি। তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে রাউজান ও আশপাশের এলাকায় রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে। গত ২৫ অক্টোবর প্রতিপক্ষের গুলিতে এক যুবদল নেতা নিহত হন। এর আগেও রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবং হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিহত হন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত সহিংসতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
১০৬ বার পড়া হয়েছে