বাবলাই ছিলেন হামলাকারীদের মূল টার্গেট : সিএমপি কমিশনার
বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ ৭:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী–পাঁচলাইশ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে গুলির ঘটনায় নিহত সারোয়ার হোসেন বাবলাই ছিলেন হামলাকারীদের মূল টার্গেট বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
বুধবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এরশাদ সাহেব টার্গেটে ছিলেন না। টার্গেট ছিলেন সরোয়ার বাবলা। গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনাকে পুলিশ পরিকল্পিত হামলা হিসেবে দেখছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা বাইরে থেকে এসে ঘটনাটি ঘটায়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদের কাছে জনসংযোগ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন। আহতদের দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সরোয়ার বাবলার মৃত্যু হয়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিহত সরোয়ার হোসেন বাবলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি নিজেকে বিএনপি কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। গুলিবিদ্ধ অন্যদের মধ্যে ইরফানুল হক শান্ত (স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, ৩ নম্বর ওয়ার্ড), আমিনুল হক ও মর্তুজা হক রয়েছেন। তাঁরাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিএনপির স্থানীয় এক নেতা জানান, এরশাদ উল্লাহ মাগরিবের নামাজ শেষে জনসংযোগ শুরু করার সময় হামলাকারীরা সরোয়ার বাবলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পাশে থাকা এরশাদ উল্লাহ ও অন্যরা গুলিবিদ্ধ হন।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকায় এক গাড়িতে হামলার ঘটনাতেও মূল টার্গেট ছিলেন সরোয়ার বাবলা। সেদিন গুলিতে নিহত হন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। তবে সরোয়ার পালিয়ে বাঁচেন।
ওই ঘটনার পর নিহত আব্দুল্লাহর মা রাশেদা বেগম জানিয়েছিলেন, সাজ্জাদের অনুসারীরা এর আগেও তাঁর ছেলেকে গুলি করেছিল। তখনও সরোয়ারকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ।
সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ঘটনার মূল কুশীলবদের অনেকেই জেলে আছে। তবে দেশের বাইরেও ইন্ধন আছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। বাকলিয়ার জোড়া খুন মামলায় অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে, হাতিয়া থেকে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
এর আগে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে দেখা করে এক ঘণ্টা কথা বলেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে জনসংযোগে যান।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা আমাদের জন্য শিক্ষনীয়। ভবিষ্যতে কোনো দল জনসংযোগে গেলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় থানা ও এসবি-কে জানাতে হবে।
১১০ বার পড়া হয়েছে