১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি
মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ ৫:৫০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বকেয়া বিল পরিশোধ না হলে আগামী ১১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে তাদের ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে, যার মধ্যে পিডিবি'র স্বীকৃত বকেয়া ২৬২ মিলিয়ন ডলার এখনো অনাদায়ী।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের শেষ দিকে আদানি পাওয়ারের হেড অব এনার্জি রেগুলেটরি অ্যান্ড কমার্শিয়াল অভিনাশ অনুরাগ পিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও পিডিবি বিল পরিশোধ না করায় কোম্পানি ২০১৭ সালের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টের (পিপিএ) ধারা ১৩.২ (i) ও (ii) অনুযায়ী সরবরাহ বন্ধ করার আইনি অধিকার রাখে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্য সক্ষমতার ভিত্তিতে আদানি পাওয়ার ক্ষমতা চার্জ বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাওয়ার দাবি বজায় রাখবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, আদানির চিঠি আমরা পেয়েছি। তারা জানিয়েছে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করবে। আমরা আলোচনায় বসবো এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বরে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়ার জেরে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের জন্য সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ প্রায় ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেয়, যার ফলে দেশে তীব্র বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। তবে সেই সময় পিডিবি দাবি করেছিল, আদানি নিজেদের হিসাব অনুযায়ী বকেয়া নির্ধারণ করেছে, যা সরকারি হিসাবের সঙ্গে মিলছে না।
পিডিবির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট (ক্ষমতা: ১,৬০০ মেগাওয়াট) থেকে বাংলাদেশে মাসে গড়ে ৯৩২.৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই কেন্দ্রটি একমাত্র বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ রপ্তানির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পিডিবি আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত সরকার আইন পরিবর্তন করে আদানি পাওয়ারকে স্থানীয় বাজারেও বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দেয়।
১১৮ বার পড়া হয়েছে