জোট সঙ্গীদের জন্য ৬৩ আসন ছেড়েছে বিএনপি

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিএনপি প্রায় ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে যুগপৎ আন্দোলনের সহযোগী দলগুলো যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে, সেসব বিষয়ে বিএনপি সমন্বয় করবে।


বিএনপি-সমর্থিত তিনটি জোটেই রয়েছে ৩০টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলনসহ সাতটি দল নিয়ে গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চ, ভেঙে যাওয়া ২০ দলীয় জোটের অংশ ১২ দলীয় জোট, এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের অন্তর্ভুক্ত ১১টি দল।

এছাড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট, সিপিবিসহ ফ্যাসিস্টবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলও বিএনপির সঙ্গে অবস্থান নিয়েছে। তাদের জন্যও আসন খালি রাখা হয়েছে।

তবে আলোচনায় থাকলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি।

ঘোষণায় ঢাকার সাতটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এসব আসনে জোটসঙ্গী দলের শীর্ষ নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (ঢাকার যেকোনো একটি আসন)
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬)
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর (পটুয়াখালী–৩)
সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (ঝিনাইদহ–২)
বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ–৫)
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব (লক্ষ্মীপুর–৪)
এছাড়া এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (চট্টগ্রাম–১৪), এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা–৭), বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা–১৭), এবং এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের (ঢাকা–১৩) জন্যও আসন খালি রাখা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে দিনাজপুর–৩, বগুড়া–৭ ও ফেনী–১ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া–৬ আসন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।