৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি
সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ ৫:০৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
জুলাই সনদের সুপারিশ অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। 
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১২টি আসনে ১০ জন নারী প্রার্থীর নাম রয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত নাম বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁকে দলটি দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে নির্বাচন করতে পারেন। এর আগে ২০০৮ সালের সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী এই সংখ্যা পাঁচ থেকে কমিয়ে তিনে আনা হয়।
খালেদা জিয়ার জন্ম ও শৈশব দিনাজপুরে হলেও এই আসন থেকে এবারই প্রথম তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। তাঁর স্বামী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পৈত্রিক নিবাস বগুড়ায়, আর নিজ পৈত্রিক নিবাস ফেনীতে।
অন্য নারী প্রার্থীরা
খালেদা জিয়ার বাইরে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া অন্যান্য নারী নেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন—
সানজিদা ইসলাম তুলি (ঢাকা-১৪) — ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়ক; গুম হওয়া ভাই সাজেদুল ইসলাম নয়নের বোন।
আফরোজা খানম রিতা (মানিকগঞ্জ-৩) — মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মুন্নু গ্রুপের চেয়ারম্যান; প্রয়াত হারুনার রশীদ মুন্নুর কন্যা।
তাহসিনা রুশদীর লুনা (সিলেট-২) — নিখোঁজ সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী।
শামা ওবায়েদ ইসলাম (ফরিদপুর-২) — বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রয়াত নেতা কে এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা।
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ (ফরিদপুর-৩) — মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক; বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা।
ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো (ঝালকাঠি-২) — সাবেক সাংসদ ও প্রয়াত জুলফিকার আলী ভুট্টোর স্ত্রী।
ফারজানা শারমিন পুতুল (নাটোর-১) — হাইকোর্টের আইনজীবী ও বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য; চারবারের সাবেক এমপি ফজলুর রহমান পটলের কন্যা।
সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা (শেরপুর-১) — জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর কন্যা; একাদশ সংসদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন।
সাবিরা সুলতানা মুন্নী (যশোর-২) — ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি; নিহত নেতা নাজমুল ইসলামের স্ত্রী।
‘জুলাই সনদে’ রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সরাসরি নির্বাচনে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়। বিএনপিসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট এই প্রস্তাবে সম্মতি জানায়, তিনটি দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেয়।
বর্তমানে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদে ৫০টি নারী আসন সংরক্ষিত রয়েছে। জুলাই সনদে এই ব্যবস্থা বহাল রেখে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার কথাও বলা হয়েছে।
এছাড়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে—যা ২০২০ সালের মধ্যে পূরণের কথা থাকলেও সময়সীমা বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে