পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন রিট মামলার বাদীপক্ষ।
হাইকোর্ট ওই রায়ে সংশোধনীর কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করলেও, বাদীপক্ষ এখন পুরো সংশোধনীটি বাতিল চাচ্ছেন।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া সোমবার (৩ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে এই আপিল দায়ের করেন।
২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন। এতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পথ আংশিকভাবে উন্মুক্ত হলেও বাদীপক্ষের দাবি ছিল, পুরো সংশোধনীটি বাতিল করা উচিত ছিল।
আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আমরা রিটে পুরো সংশোধনী বাতিলের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু হাইকোর্ট আংশিকভাবে রায় দেওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার কিছু জটিলতা রয়ে গেছে। যেমন, প্রধান উপদেষ্টার শপথের বিধানটি এখনো ফিরে আসেনি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে আইনগত ও পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। তাই পুরো সংশোধনী বাতিলের দাবি নিয়ে আমরা আপিল করেছি।
২০১১ সালে জাতীয় সংসদ সংবিধানের ৫৪টি ধারা, অনুচ্ছেদ ও উপধারায় সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে।
হাইকোর্টের রায়ে সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা- যেগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির সঙ্গে সম্পর্কিত- অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে সংবিধানে যুক্ত ৭(ক), ৭(খ) ও ৪৪(২) অনুচ্ছেদও বাতিল করা হয়।
রায়ে আদালত আরও উল্লেখ করে, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৪২ অনুচ্ছেদ থেকে গণভোটের বিধান বাতিল করা হয়েছিল, যা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। ফলে সংশোধনীর ৪৭ ধারা বাতিল ঘোষণা করে আদালত দ্বাদশ সংশোধনীর সময়কার ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করে।
তবে আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, পুরো পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়নি। অন্য ধারাগুলোর বিষয়ে ভবিষ্যতে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পরিবর্তন আনতে পারবে।
১০৯ বার পড়া হয়েছে