বাজারে স্বস্তি: সবজির দামে বড় পতন, ডিম-মুরগিতেও প্রভাব

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ৬:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কয়েক সপ্তাহ আগেও বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ায় এখন বাজারে নেমেছে স্বস্তির হাওয়া। 
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই থেকে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
বর্তমানে বাজারে শিম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল প্রায় দ্বিগুণ। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস মিলছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। মুলার দামও কমে দাঁড়িয়েছে ৪০-৬০ টাকা কেজি।
এছাড়া আলু ২০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ও কচুর মুখি ৩০-৪০ টাকা, আর পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা বেগুন, করলা, বরবটি ও কচুর লতি পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। কাঁচা মরিচের দামও কিছুটা কমে এখন ১০০ টাকার ঘরে এসেছে, যদিও মহল্লার দোকানগুলোতে দাম কিছুটা বেশি।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে ফিরেছে ইলিশ। তবে দাম এখনো অনেকের নাগালের বাইরে। রামপুরা বাজারে ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে, আর ৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১,৬০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে। অন্য মাছের দামও আগের মতোই চড়া রয়েছে।
সবজির দাম কমায় প্রভাব পড়েছে ডিম ও মুরগির বাজারেও। দুই সপ্তাহ আগে যেখানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছিল ১৪০ টাকায়, এখন বড় বাজারে তা কমে ১৩০ টাকায় নেমেছে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে এখনো ১৪০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দামও ১০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। তবে সোনালি মুরগি এখনও আগের দামে—২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, আর দেশি রসুনের দাম ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। মসুর ডালের ক্ষেত্রে দেশি জাতের দাম অপরিবর্তিত (১৫০–১৫৫ টাকা), তবে আমদানি করা মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫–১০ টাকা কমে ৯৫–১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির বাজারেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে—প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। তবে ভোজ্যতেলের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে।
১১২ বার পড়া হয়েছে