ইসরায়েলি হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ লেবাননে
বৃহস্পতিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:৪১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
লেবাননের আরব-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন দেশের সেনাবাহিনীকে যে কোনো ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষের দিকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটি লেবাননের প্রথম বড় পদক্ষেপ।
বুধবার রাতে দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদা শহরের একটি পৌরসভা ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আউন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং একে “ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিক অংশ” বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হামলার লক্ষ্যবস্তু ওই ভবনটি হিজবুল্লাহর সাম্প্রতিক কার্যক্রমের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। সংগঠনটি সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
গত আগস্টে লেবাননের আরব-সমর্থিত সরকার সব ধরনের অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করে। তবে হিজবুল্লাহ সেই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচটি দখলকৃত সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা অস্ত্রসমর্পণ করবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর হিজবুল্লাহর লক্ষ্যেও একাধিক আক্রমণ চালানো হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইসরায়েলের পূর্ণাঙ্গ হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার আহত হয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কথা থাকলেও, তারা এখনো পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে অবস্থান বজায় রেখেছে।
১০৮ বার পড়া হয়েছে