সর্বশেষ

সারাদেশ

নিম্নচাপের দাপটে থমকে কক্সবাজারের মাছ ধরার নৌযান

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার প্রতিনিধি

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২:১৫ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কক্সবাজারের হাজারো জেলে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সেই প্রস্তুতি থমকে গেছে।

উত্তাল সাগর ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এখন ট্রলারগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে।

কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়াপাড়া খালে ও নুনিয়াছড়া ফিশারি ঘাটে সকালে দেখা গেছে, সারি সারি ট্রলার অলস ভেসে আছে জোয়ারের পানিতে। জেলেরা কেউ গল্পে মেতে আছেন, কেউবা চুপচাপ সাগরের দিকে তাকিয়ে আছেন—কখন আবার নেমে পড়া যাবে মাছ ধরতে, সেই অপেক্ষায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আগামী ২৮ অক্টোবর রাত বা ২৯ অক্টোবর সকালে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। কক্সবাজার উপকূলে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে। নৌযান ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “পুরো জেলায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জেলে ও পাঁচ হাজারের বেশি ট্রলার সাগরে নামার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু সাগর উত্তাল হওয়ায় কেউই যেতে পারছেন না। গত কয়েক মাস ধরেই ইলিশসহ অন্যান্য মাছের অভাব, তার ওপর বারবার নিম্নচাপ সৃষ্টি হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আগস্টে ছয়বার ও সেপ্টেম্বরে তিনবার নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। এই ঘনঘন দুর্যোগের কারণ নিয়েও এখন গবেষণা দরকার।”

মহেশখালীর জেলে আবদুল মজিদ জানান, “নিষেধাজ্ঞার সময় ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছি। আশা করেছিলাম নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরব, কিন্তু আবারও বাধা। এখন ঘরে চাল নেই, দোকানদারও বাকি দিতে চায় না।”

আরেক জেলে সাইফুল করিম বলেন, “আমাদের ট্রলারে ২১ জন জেলে। সরকারি সহায়তা পাইনি। একটানা আয় বন্ধ থাকায় সংসার টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।”

ট্রলারের মাঝি ঈমান হোসেন বলেন, “ইলিশ ধরতে হলে ৮০–৯০ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। একবার সাগরে নামলে খরচ হয় আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। কিন্তু দুর্যোগে ট্রলার ফিরিয়ে আনলে অর্ধেক টাকাই লোকসান।”

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ হাজার ২৮০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার।

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন