সর্বশেষ

সাহিত্য

কবি শামসুর রাহমান: আধুনিক বাংলা কবিতার মহাকাব্যিক স্বর

গাউসুর রহমান 
গাউসুর রহমান 

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ৮:০৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬) আধুনিক বাংলা কবিতার এক কিংবদন্তী পুরুষ; তিনি কেবল একজন কবি নন, বরং অর্ধ-শতাব্দীব্যাপী এক বিক্ষুব্ধ জনপদের আবেগ, রাজনীতি এবং স্বপ্নভঙ্গের বিশ্বস্ত দলিল।

পঞ্চাশের দশকে আবির্ভূত হয়ে তিনি বাংলা কবিতার আধুনিকতাবাদী ধারায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেন, যেখানে নাগরিক যন্ত্রণা, বিচ্ছিন্নতাবোধ এবং বিশ্বজনীন নিরীক্ষার সঙ্গে মিশে যায় স্বদেশের মাটি ও মানুষের গভীরতম আর্তি। তাঁর কবিতা একই সঙ্গে ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গতার উচ্চারণ এবং জাতীয় ইতিহাসের মহাকাব্যিক ভাষ্য। শামসুর রাহমান তাঁর কাব্যজীবনে যে ব্যাপকতা, গভীরতা এবং শৈল্পিক উৎকর্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন, তা তাঁকে জীবনানন্দ-পরবর্তী বাংলা কাব্যের অন্যতম প্রধান ভিত্তিস্তম্ভে পরিণত করেছে।

 

শুরুর দিকে, যখন তিনি তাঁর কাব্যসাধনা শুরু করেন, তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব-মানবের হতাশা এবং দেশভাগের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জীবনের ছাপ তাঁর কবিতায় সুস্পষ্ট ছিল। প্রথাগত রোমান্টিকতা থেকে বেরিয়ে এসে তিনি নাগরিক নৈঃসঙ্গ্যকে প্রধান উপজীব্য করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ, ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৯৬০), বাংলা কবিতায় আধুনিকতার যে দীপ্র সূচনা করেছিল, তা ছিল রবীন্দ্র-নজরুল-জীবনানন্দের ঐতিহ্যের ভূমি থেকে এক সাহসী বহির্গমন। এই সময়ে তাঁর কবিতায় ইউরোপীয় আধুনিকতা, বিশেষত টি. এস. এলিয়ট ও শার্ল বোদলেয়ারের প্রভাব লক্ষ্যণীয় হলেও, শামসুর রাহমান দ্রুতই নিজস্ব স্বর আবিষ্কার করেন। তাঁর প্রথম দিকের কবিতায় নগরজীবন এক নিঃসঙ্গ দ্বীপের মতো প্রকট হয়, যেখানে ব্যক্তিসত্তা একাকীত্বের ভারে ন্যুব্জ। এই সময়ের কবিতাগুলিতে, যেমন ‘রূপালি স্নান’ বা ‘কালো কফিন’–এ, সময়ের জটিলতা এবং জীবনের অন্তঃসারশূন্যতা চিত্রিত হয়েছে নিপুণভাবে। তিনি লেখেন: "আমার হৃদয় এক নিঃসঙ্গ দ্বীপে / চুপ করে বসে থাকি..."— 

 

এই পঙ্‌ক্তিগুলিতে আধুনিক মানবের বিচ্ছিন্নতা এবং অস্তিত্বের সংকট গভীর ব্যঞ্জনায় প্রকাশিত। তিনি ছন্দের ক্ষেত্রে অক্ষরবৃত্তকে নিজস্ব ঢঙে ব্যবহার করে এক স্বচ্ছন্দ গদ্যময়তার জন্ম দেন, যা জটিল অনুভূতি প্রকাশের জন্য ছিল অত্যন্ত উপযোগী।

 

তবে এই নাগরিক যন্ত্রণা কেবল ব্যক্তিগত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকেনি। শামসুর রাহমানের কাব্যপ্রতিভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো ব্যক্তিগত সত্তা থেকে জাতীয় চেতনার দিকে তাঁর অনবদ্য উত্তরণ। ষাটের দশকের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন এবং স্বাধিকারের স্বপ্ন তাঁর কবিতাকে এক ভিন্ন রাজনৈতিক ভাষ্য দান করে। ব্যক্তিগত স্বপ্নভঙ্গ রূপান্তরিত হয় সমষ্টিগত দ্রোহে; তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে গণমানুষের কণ্ঠস্বর। এই বাঁক পরিবর্তন স্পষ্টত ধরা পড়ে ‘বিধ্বস্ত নীলিমা’ এবং বিশেষ করে ‘বন্দী শিবির থেকে’ কাব্যগ্রন্থে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘বন্দী শিবির থেকে’ শুধু একটি কাব্যগ্রন্থ নয়, এটি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কার ঢাকার জনজীবনের এক প্রামাণ্য দলিল। একাত্তরের রুদ্ধশ্বাস দিনগুলিতে, যখন মৃত্যু ছিল নিত্যসঙ্গী, তখন কবি নীরব থাকতে পারেননি। তিনি অস্ত্রের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। এই সময়ে রচিত তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘স্বাধীনতা তুমি’ যেন বাঙালি জাতির সম্মিলিত আত্মার জয়গান। এখানে স্বাধীনতা কেবল রাজনৈতিক মুক্তি নয়, বরং সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগত পরিচয়ের সঙ্গে একাত্ম। তিনি স্বাধীনতাকে সংজ্ঞায়িত করেন বিবিধ প্রতীকে: "স্বাধীনতা তুমি / রবি ঠাকুরের অমর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি / কাজী নজরুল ইসলামের ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ। স্বাধীনতা তুমি / বাবার হাতের নরম থালাভরা ভাত।"

 

এই কবিতায় স্বাধীনতা বিমূর্ত ধারণা থেকে নেমে এসে প্রকৃতির সবুজ, ঐতিহ্যের শেকড় এবং দৈনন্দিন জীবনের সরল আনন্দের সঙ্গে মিশে যায়। স্বাধীনতাকে তিনি একাধারে মহৎ সংস্কৃতি এবং সাধারণ জীবনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর কবিতাকে এনে দেয় অতুলনীয় জনপ্রিয়তা এবং তাৎক্ষণিক প্রাসঙ্গিকতা। একই সময়ে রচিত ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটিতে তিনি সেই লক্ষ প্রাণের আত্মত্যাগের হিসাব তুলে ধরেন, যেখানে একটি শিশুর নিষ্পাপ হাসি, একজন কৃষকের স্বপ্ন, আর একজন মুক্তিযোদ্ধার রক্ত— সবকিছুর বিনিময়ে স্বাধীনতাকে আকাঙ্ক্ষা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট শামসুর রাহমানের কাব্যকে নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে স্থাপন করে। স্বাধীনতা লাভের পর যখন স্বপ্নের বিপরীতে আসে নৈরাজ্য, দুর্নীতি  তখন কবি তাঁর কলমকে শাণিত করেন প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে। এই পর্বের কবিতাগুলোতে হতাশা, ক্ষোভ ও তীব্র ব্যঙ্গ মূর্ত হয়ে ওঠে। তিনি হয়ে ওঠেন স্বদেশের বিবেকের ধারক। স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে তাঁর কবিতা ছিল তীক্ষ্ণ সমালোচনা। এই সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’ । এই কাব্যনামটিই স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলার এক করুণ ও নিষ্ঠুর ব্যঙ্গাত্মক চিত্র তুলে ধরে। স্বদেশ যেন এক উদ্ভট, অনির্দিষ্ট যাত্রায় লিপ্ত, যার পরিণতি অনিশ্চিত। তিনি লেখেন: "উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বালকেরা, এই বালকেরা, দেখছে দৃশ্যগুলো..."

 

এখানে ‘বালকেরা’ ভবিষ্যতের প্রতীক, যারা দেখছে তাদের পূর্বপুরুষদের স্বপ্নে গড়া দেশটি কেমন করে এক বিকৃত পথে ধাবিত হচ্ছে। এই কবিতায় হতাশা ব্যক্তিগত স্তর অতিক্রম করে জাতীয় বিপর্যয়ের রূপ নেয়। তিনি শাসকশ্রেণীর মিথ্যাচার ও জনগণের বঞ্চনাকে উন্মোচিত করতে রূপক ও প্রতীকী চিত্রকল্পের আশ্রয় নেন। ‘বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ কবিতায় ভাষা ও সংস্কৃতির অবমাননার বিরুদ্ধে তাঁর বেদনা প্রকাশ পায়। যে বর্ণমালা একদা মুক্তির প্রতীক ছিল, সেই বর্ণমালাকেই তিনি দেখেন দুঃখিনী রূপে, যা ইঙ্গিত দেয় সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের দুর্বল হয়ে আসার। শামসুর রাহমানের কাব্যের বহুমাত্রিকতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তাঁর চিত্রকল্পের উদ্ভাবনী শক্তি এবং ভাষার স্বচ্ছন্দ ব্যবহার। তিনি ঐতিহ্যবাহী বাংলা ছন্দের সঙ্গে আধুনিক মননের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন। অক্ষরবৃত্তকে প্রায়শই গদ্যের কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন, কিন্তু তার ভেতরের লয় এবং সুনির্দিষ্ট বিন্যাস কখনোই হারাননি। তাঁর শব্দচয়ন ছিল অত্যন্ত সতর্ক ও পরিশীলিত; তৎসম ও চলিত শব্দের সার্থক মিশ্রণে তিনি এক ধরনের কাব্যিক আভিজাত্য সৃষ্টি করতেন।

 

তিনি পরাবাস্তবতা (Surrealism) এবং মিথ-এর ব্যবহারেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। বিশেষত প্রেম ও মৃত্যুর মতো চিরায়ত বিষয়ে তাঁর কবিতায় পরাবাস্তবতার চিত্রকল্পসমূহ এক ভিন্ন মেজাজ তৈরি করে। ‘নিরাপদ দূরত্ব’ বা ‘আমি অনাহারী’ কাব্যগ্রন্থগুলিতে আত্মগত অভিজ্ঞতার গভীরে প্রবেশ করতে তিনি অদেখা বা স্বপ্নিল চিত্রকল্পের ব্যবহার করেন। প্রেম তাঁর কাছে কেবল শারীরিক আকর্ষণ নয়, বরং এক গভীর দার্শনিক অনুসন্ধান। প্রেম প্রায়শই তাঁর কবিতায় একাকীত্বের বিপরীতে আশ্রয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, অথবা জীবনের জটিলতার এক রহস্যময় সমাধান হিসেবে। তবে প্রেমও সেখানে নিঃশর্ত নয়, বরং সময়ের আঘাতে তা ক্ষত-বিক্ষত।

 

মৃত্যুচিন্তা শামসুর রাহমানের কবিতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মৃত্যু তাঁর কাছে কখনও ভীতি, আবার কখনওবা জীবনের সমাপ্তি হিসেবে নয়, বরং এক অনিবার্য পরিণতি হিসেবে চিত্রিত হয়েছে, যা জীবনের অর্থকে আরও জোরালো করে। তিনি মৃত্যু নিয়ে লেখেন: "মৃত্যু আমার কাছে দুয়ার-খোলা অরণ্য, যেখানে বাতাস খেলা করে... তুমি আসবে, জানি, এক নিরুত্তাপ সন্ধ্যায়।"এই পঙ্‌ক্তিগুলিতে মৃত্যু এক শীতল, কিন্তু শান্ত গন্তব্যের ইঙ্গিত দেয়।
শামসুর রাহমান তাঁর দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সরব। তিনি  তাঁর আদর্শ থেকে সরে আসেননি। তাঁর এই আপোষহীনতাই তাঁকে কেবল কবি নয়, জাতীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তিনি বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।

 

ষাটের দশকের শেষভাগ থেকে সত্তর দশকের প্রথমার্ধ্ব পর্যন্ত শামসুর রাহমানের কবিতায় ‘ঢাকা’ শহর একটি স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঢাকা কেবল ভৌগোলিক স্থান নয়, এটি কবির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সংগ্রামের কেন্দ্র। এই ঢাকা কখনও জনাকীর্ণ নির্জনতা নিয়ে আসে, আবার কখনও হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঢাকা ছিল তাঁর কবিতার প্রধান চরিত্র, যা নিপীড়িত বাঙালির প্রতিচ্ছবি।

 

শামসুর রাহমানের কাব্যের গঠনশৈলী সমালোচকদের দ্বারা উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দের আধুনিক ব্যবহারকে নিজস্ব ঘরানায় নিয়ে এসেছেন। যদিও তাঁর প্রারম্ভিক কবিতায় অনুপ্রাস বা অলংকারের সচেতন ব্যবহার ছিল, পরবর্তীকালে তা এক সহজ, সরল অথচ গভীর ভাষায় রূপান্তরিত হয়। তাঁর ভাষা এমন ছিল যে, একই সঙ্গে শিক্ষিত পাঠক এবং সাধারণ পাঠক তা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর গদ্যলয় এবং পঙ্‌ক্তি ভাঙার কৌশল আধুনিক বাংলা কবিতায় এক নতুন প্রমিতি স্থাপন করে।

 

সমালোচনার ঊর্ধ্বে শামসুর রাহমানও ছিলেন না। কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে নাগরিক জীবনের বাইরে গ্রামীণ বাংলার প্রতি উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন, তাঁর রাজনৈতিক কবিতাগুলি কখনও কখনও স্লোগানধর্মী হয়ে উঠেছে। তবে এই সমালোচনা সত্ত্বেও স্বীকার করতেই হবে, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এমন কোনো কবি নেই যিনি এত সফলভাবে ব্যক্তিগত আবেগ এবং জাতীয় ইতিহাসকে একই ভাষায় গেঁথেছেন। তিনি আধুনিক মননশীলতা এবং দেশজ ঐতিহ্যের এক বিরল সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন।

 

শামসুর রাহমান ছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার এক বিশাল মহীরূহ। তিনি কেবল সময়ের ধারক ছিলেন না, বরং তিনি সময়কে নির্মাণ করেছেন তাঁর কাব্যের মাধ্যমে। তাঁর কবিতা বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি এবং মুক্তি সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর রচনায় যেমন নাগরিক জীবনের জটিলতা, তেমনই মুক্তিযুদ্ধের গৌরব এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর সাহিত্যকর্ম শুধু একটি কালের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং তাঁর কবিতার শক্তি, ভাষা এবং মর্মার্থের গভীরতা তাঁকে চিরকালীন কবিদের সারিতে স্থান করে দিয়েছে। যতক্ষণ বাঙালির ভাষা এবং স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকবে, ততক্ষণ শামসুর রহমানের কবিতা এক আলোকবর্তিকা হিসেবে বাঙালি মানসকে পথ দেখাবে।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট এবং সহকারী অধ্যাপক (বাংলা), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশুলিয়া, ঢাকা।

২৬৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সাহিত্য নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন