মামলা থেকে খালাস পেয়ে মানবসেবায় মনোযোগী হতে চান হাবিবুল
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা–কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় যারা তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো মানসিকতা তাঁর নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের হোটেল টাইগার প্লাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।”
হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, দীর্ঘদিন কারাভোগ ও আইনি লড়াই শেষে তিনি এখন মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।
“আমাদের যে সাজা হয়েছিল, তাতে আমাদের মৃত্যুই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা ফিরে এসেছি। এখন স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টির সেবাতেই মনোযোগ দিতে চাই,” বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার সফরের পেছনের ঘটনাটির প্রকৃত বিচার হয়নি।
“যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই ঘটনার বিচার তিনি করেননি। বরং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল,” দাবি করেন সাবেক এই এমপি।
এর আগের দিন, বুধবার (২২ অক্টোবর) বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপির ৪৪ নেতাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিত স্ত্রীকে দেখতে যান। ফেরার পথে তাঁর গাড়িবহরে হামলা, গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা দায়ের হয়।
নিম্ন আদালতে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন এবং অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট রায়ে তাঁদের সবাইকে খালাস দেন। এর আগে একই ঘটনার হত্যাচেষ্টা মামলায়ও আসামিরা খালাস পান।
১১০ বার পড়া হয়েছে