থাইল্যান্ডের রানি সিরিকিত আর নেই
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভজিরালংকর্নের মা ও প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের স্ত্রী রানি সিরিকিত ৯৩ বছর বয়সে মারা গেছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২১ মিনিটে ব্যাংককের এক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে থাই রাজপরিবারের দপ্তর জানিয়েছে।
রাজপরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই রানি সিরিকিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি মাসে তার রক্তে সংক্রমণ দেখা দেয়, যা শেষে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
রানি সিরিকিত ছিলেন থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম সময়ের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের সঙ্গিনী। ভূমিবল ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন, আর তাঁর সঙ্গে ছয় দশকেরও বেশি সময় রাজত্ব করেন সিরিকিত।
রাজপরিবারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজা ভজিরালংকর্ন তাঁর মায়ের রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রানি সিরিকিতের মরদেহ ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্যালেসের দুসিত থ্রোন হলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সংরক্ষিত থাকবে। রাজপরিবারের সদস্যরা এক বছরব্যাপী শোক পালন করবেন।
১৯৩২ সালে জন্ম নেওয়া রানি সিরিকিত তরুণ বয়সে ফ্রান্সে সঙ্গীতে পড়াশোনা করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় ভূমিবল আদুলিয়াদেজের, যিনি তখন থাইল্যান্ডের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। ১৯৫০ সালে, ভূমিবলের অভিষেকের ঠিক এক সপ্তাহ আগে, এই যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৬০-এর দশকে রাজা–রানির যুগল বিশ্বভ্রমণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও গায়ক এলভিস প্রিসলির মতো খ্যাতনামাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন জগতে রানি সিরিকিতকে অন্যতম রুচিশীল নারী হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
রানি সিরিকিতকে থাইল্যান্ডে “জাতির জননী” হিসেবে সম্মান করা হতো। ১৯৭৬ সাল থেকে তাঁর জন্মদিন ১২ আগস্ট দেশটিতে মা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
২০১২ সালে তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর জনসমক্ষে খুব কমই দেখা যেত তাকে। রেখে গেছেন এক ছেলে রাজা ভজিরালংকর্ন এবং তিন কন্যাকে।
রানি সিরিকিতের মৃত্যুর পর ব্যাংকজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজপ্রাসাদের বাইরে হাজারো মানুষ ফুল ও ছবি নিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন।
১২২ বার পড়া হয়েছে