ফেনীতে ফুটবল মাঠে সংঘর্ষে আহত ১২, আজকের সেমিফাইনাল স্থগিত

বৃহস্পতিবার , ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফেনীতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের এক ম্যাচ শেষে দর্শকদের হামলায় খেলোয়াড়সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
উত্তেজিত জনতা এ সময় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনার পর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার ভাষাশহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে অনুষ্ঠিত খেলায় সোনাগাজী উপজেলা দল ৪-২ গোলে ফুলগাজী উপজেলা দলকে পরাজিত করে। খেলা শেষের পর সোনাগাজীর সমর্থকেরা উল্লাস করতে মাঠে ঢুকে পড়েন। এ সময় বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনালের প্রস্তুতিতে থাকা ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড়রাও মাঠে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত জনতা সোনাগাজী দলকে বহনকারী কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলায় ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড় নিশাতসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে হামিম, রকি, আরমান, জুবায়ের, আরিফ ও আবদুল্লাহর নাম জানা গেছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগেন চাকমা জানান, হামলায় আহত দর্শক হামিমের মাথায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এছাড়া সোনাগাজী থেকে আসা কয়েকটি বাস ভাঙচুরের শিকার হয়েছে, এর মধ্যে একটি বাস গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সেমিফাইনাল খেলা স্থগিত রাখা হয়েছে।”
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১০৫ বার পড়া হয়েছে