বিশ্ববাজারে বড় দরপতন, বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম উঠানামা

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ ৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের ৬ শতাংশ দরপতনের পরেও দেশের বাজারে এর ঘরা প্রভাব তেমন পড়েনি।
বাংলাদেশে গত সপ্তাহে ভরি প্রতি সর্বোচ্চ মাত্র ২ শতাংশ বা ২ হাজার টাকারও কম কমেছে দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানায়, নতুন হারে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি দাম এখন ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, অতি সম্প্রতি দাম এক ভরিতে ১,০৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় দরপতন হলেও, স্থানীয় বাজারে এর কমতির হার কম। মূল কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন—বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণে স্থানীয় বাজারের চাহিদা, বৈধ আমদানির স্বল্পতা, ডলার টাকার বিনিময় হার, আমদানি শুল্ক ও সিন্ডিকেটের প্রভাব বড় ভূমিকা রাখে। ফলে বাজারে দরপতনের প্রভাব সীমিত থাকে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বিশ্ববাজারে দরপতন অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশেও দামে আরও সংশোধন হতে পারে; তবে বাজার স্থিতিশীল না হলে ক্রেতাদের জন্য তাত্ক্ষণিক বড় ধরনের স্বস্তি না-ও আসতে পারে। বর্তমানে উচ্চমূল্য এবং ক্রয়ক্ষমতার সংকটে দেশের স্বর্ণ অলঙ্কার ব্যবসাও ৪০-৪৫ শতাংশ কমে গেছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়লে বাংলাদেশের বাজারে দ্রুতই মূল্যবৃদ্ধি দেখা যায়, কারণ স্থানীয় জুয়েলার্সরা মূল্যমান সমন্বয় করে পণ্যের বিদেশে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং বাজারে সিন্ডিকেটের কার্যক্রমের কারণে স্থানীয় চাহিদা ও সরবরাহ ঘাটতি বিবেচনা করে; কিন্তু দাম কমতে সময় নেয়, কারণ ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক দরপতনের পরে আরও পতন আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে চান, পুরনো মাল সাশ্রয়ে বিক্রি করেন না এবং টাকার অবমূল্যায়ন, আমদানির শুল্ক ও মজুরি যোগ হওয়ায় বাজারে দ্রুত পতনের পুরো প্রভাবও পড়ে না—ফলে মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত ধীরগতির এবং ধাপে ধাপে আসে।
বর্তমানে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কিছুটা কমলেও উচ্চমূল্যের ফলে স্বর্ণ বিক্রি ৪০-৪৫% কমে গেছে। সাধারণ ক্রেতারা দাম কমার অপেক্ষায় আছেন; বিবাহ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নূন্যতম প্রয়োজনেই কেনাকাটা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক বাজারে আরও বড় দরপতন হলে কিংবা টাকার মান স্থিতিশীল থাকলে বাংলাদেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে।
১১১ বার পড়া হয়েছে