সর্বশেষ

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ ২:১৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে আছেন।

 

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর পুরান হাইকোর্ট চত্বরে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে তাদের আনা হয়। সকাল ৭টার কিছু পর বাংলাদেশ জেল কর্তৃপক্ষের একটি সবুজ প্রিজন ভ্যানে তাঁদের হাজির করা হয়। অভিযুক্তরা সবাই সাধারণ পোশাকে ছিলেন।

এই তিন মামলার মধ্যে দুটি ২০০৯-২০২৪ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। তৃতীয় মামলাটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার সহিংসতা নিয়ে।

গুম-নির্যাতনের একটি মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। সেনা হেফাজতে থাকা অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

এ মামলায় র‍্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ—পলাতক রয়েছেন। একই মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁরা সবাই পলাতক।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার আসামিদের মধ্যে ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী—বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

এছাড়াও আসামি করা হয়েছে ডিজিএফআইয়ের পাঁচ সাবেক মহাপরিচালককে, যাঁরা বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক। তাঁদের বেশ কয়েকজনের বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত করা না গেলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা দেশত্যাগ করেছেন।

২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত সহিংসতায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। রেদোয়ানুল ও রাফাত বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন, অন্য দুই আসামি পলাতক।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন