চলে গেলেন কৌতুক অভিনেতা আসরানি, বয়স ৮৪ বছর

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বলিউডের বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা গোবর্ধন আসরানি আর নেই। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগার পর সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে মুম্বাইয়ের জুহু এলাকার আরোগ্য নিধি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাতিজা অশোক আসরানি।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আসরানি। তাঁর ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় অবস্থার অবনতি ঘটে। শেষ পর্যন্ত দীপাবলির উৎসবের আবহে থেমে গেল এই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার জীবনপ্রবাহ।
‘শোলে’র জেলারের অমর রূপ
গোবর্ধন আসরানির নাম বললেই দর্শকদের চোখে ভেসে ওঠে কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘শোলে’-র বিখ্যাত জেলার চরিত্রটি। পরিচালক রমেশ সিপ্পির এই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র ও আমজাদ খানের মতো তারকাদের মাঝে দাঁড়িয়ে নিজের স্বকীয় অভিনয় দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন আসরানি। তার হাস্যরসাত্মক সেই চরিত্র আজও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।
পরিচালক রমেশ সিপ্পি এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই মৃত্যুটা খুব অপ্রত্যাশিত। কিছুদিন আগেই দেখা হয়েছিল, তখন তিনি সুস্থ ছিলেন। আমি তাঁকে সবসময় মনে রাখব। ‘শোলে’-র জেলার চরিত্রটি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ ছিল। আমি বিশ্বাস করি, এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্যই তিনি জন্মেছিলেন।”
পাঁচ দশকের চলচ্চিত্রযাত্রা
আসরানির অভিনয়জীবন পাঁচ দশকেরও বেশি সময় জুড়ে বিস্তৃত। ৩৫০টিরও বেশি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘মেরে আপনে’, ‘বাওয়ার্চি’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘অভিমান’, ‘সরগম’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’—এইসব ছবিতে তাঁর সংলাপ, শরীরী ভাষা ও টাইমিং দর্শকদের হাসিতে ভরিয়ে দিয়েছে।
১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চলে মুরারি হিরো বননে’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে তিনি পরিচালনা করেন ‘সালাম মেমসাব’ নামের চলচ্চিত্র।
শেষ বিদায়ে শোকের ছায়া বলিউডে
আসরানির মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত—সকলেই স্মরণ করছেন এই প্রতিভাবান শিল্পীর অসাধারণ কৌতুকাভিনয় ও বিনোদনের অবদান।
বহু চরিত্রে তিনি যেমন দর্শকদের হাসিয়েছেন, তেমনি তাঁর এই বিদায়ে আজ চলচ্চিত্রপ্রেমী মন কেঁদে উঠেছে।
১২০ বার পড়া হয়েছে