তিন মাসের বেতন বকেয়া, রেলভবন ঘেরাওয়ের হুমকি টিএলআর শ্রমিকদের

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ২:০৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট–টিএলআর) ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিকরা টানা তিন মাসের বকেয়া বেতন না পেয়ে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছেন।
দাবি পূরণে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও কোন সমাধান না পেয়ে তারা আজ মঙ্গলবার রেলভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাওন গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে কর্মরত শত শত টিএলআর শ্রমিক গেটকিপার, সোর্টার, খালাসি, ওয়েম্যান, রেস্টহাউস বেয়ারা, পয়েন্টসম্যান ও অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিন মাস ধরে তারা কোন বেতন পাচ্ছেন না, যার ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অনেক শ্রমিক এক বেলা খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, কেউবা পরিবার নিয়ে চরম দুঃসহ অবস্থায় রয়েছেন।
তিনি জানান, এর আগে গত ১ আগস্ট ও ৫ অক্টোবর রেল মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিভাগীয় কর্মকর্তারা ‘বাজেট অনুমোদনের অভাব’ দেখিয়ে বেতন প্রদানে বিলম্ব করছেন বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা।
টিএলআর ফোরামের পক্ষ থেকে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে দেয়া এক চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ২০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং নিয়মিত মাসিক বেতন প্রদানের নিশ্চয়তা না দেওয়া হলে ২১ অক্টোবর থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে যাবেন। এতে ট্রেন চলাচলে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটলে তার দায়ভার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
শ্রমিকদের ৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. তিন মাসের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ এবং ‘২৫ এর নীতিমালায়’ দৈনিক ভিত্তিতে ৩০ দিনের হিসাবে বেতন প্রদান।
২. প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ।
৩. অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
৪. কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরও তারা নিয়মিত বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
১১১ বার পড়া হয়েছে