সর্বশেষ

সাহিত্য

আহসান হাবীবঃ কবিতার বাঁশিওয়ালা

গাউসুর রহমান
গাউসুর রহমান

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কেবল আত্মরতি নয়, সমাজচেতনার যুগধর্মই আহসান হাবীবের কবিতার বৈশিষ্ট্য। তাঁর কবিতায় আছে নগরযন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ নৈঃসঙ্গ্য এবং জনবিচ্ছিন্নতায় প্রকাশ। 

জনতা-বিচ্ছিন্ন আত্মবিবরে আবদ্ধ কবি এবং জনতাঘনিষ্ট কবি এই দু’ধরনের ধারাকে আত্মস্থ করেই আহসান হাবীবের কাব্যযাত্রা শুরু হয়েছিলো। আত্মপ্রসারকামী কবি বলেই আহসান হাবীব তাঁর কবিতায় তুলে এনেছেন মহাযুদ্ধোত্তর কাল-কল্লোল। আহসান হাবীবের কবিতা তাঁর সোনালি দস্তখত। যখনই তিনি পারিপার্শ্বিক জীবনচিত্র তাঁর কবিতায় চিত্র রূপময় হতে দিয়েছেন, তখনই তিনি কবিতার শরীরে যুদ্ধ করেছেন সচেতন প্রয়াসে নিজের আইডেনটিটি। 

আবহমান গ্রামীণ-জনপদ আহসান হাবীবের কবিতায় ছবির মতো ফুটে উঠেছে। জীবনধারা সেখানে হয়েছে অবিচ্ছিন্ন অবিরল চিত্র হয়ে। এক্ষত্রে তিনি আল মাহমুদের সগোত্রীয় হলেও মেজাজে ভিন্ন, স্বতন্ত্র্য এক কণ্ঠস্বর। আমাদের চিরায়ত বাংলার জীবন ও ঐতিহ্যআহসান হাবীবের কবিতায় সম্ভ্রান্ত  অবস্থান নিয়েছে। গ্রামীণ জনপদের নিসর্গ, প্রকৃতি, যাপিত জীবন-তাঁর কবিতায় হীরকখন্ড হয়ে অবস্থান নিয়েছে। প্রকৃতি ও গ্রামীণ জনপদেই কবি নিজের আত্মপরিচয় ও আত্ম-অন্বেষণ করেছেন। কবি লেখেন :-

“আমাকে বিশ্বাস করো, আমি কোনো আগন্তক নই
দু’পাশের ধানের ক্ষেত
সামনে ধুধু নদীর কিনার
আমার অস্বিত্বে গাঁথা। আমি এক উধাও নদীর
মুগ্ধ এক অবোধ বালক।”
[আমি কোনো আগন্তক নই, দু’হাতে দুই আদিম পাথর]

স্বদেশ, মাতৃভূমি আহসান হাবীবের অস্বিত্বে গাথা। আহসান হাবীবের কবিতায় কখনো গ্রামীণ নিসর্গ, প্রকৃতি, জনপদ, যাপিত জীবন ওঠে আসে, আবার কখনো নাগরিক রুচি ওনাগরিক বৈদন্ধ্য সমৃদ্ধ তাঁর কবিতা। আহসান হাবীবের নাগরিক চেতনায় ধরা পড়ে নাগরিক সভ্যতার নেতিচাবক অনেক প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ, নৈঃসঙ্গ ও নগর জীবনের ক্লান্তি ও কৃত্রিমতা। বিশাল নগর কবির কবিতায় যেন মুখ ধুবড়ে পড়ে থাকে। গ্রামীণ জনপদের সুবাতাস তখন কবিকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। কবি লেখেন :

“খালেকের হাতে তখন সরু আর মোটা দু’টি শনের রশি
স্বপ্নের মতো অষ্পষ্ট আবেশে কাঁপতে থাকে,
কেবলই কাঁপতে থাকে এবং তার পরেই নদীর নাম নীলমনি
আবহমান কিংবা, তার হাতের রশিতে টাঙানো জাল।
চেতনার অবিরল স্রোত বেয়ে নেমে যায়
অতল জলতলের এক নির্দিষ্ট কক্ষে
যেখানে রূপালি স্বপ্নরা নৃত্যরত।”
[আবহমান]

বিষয়ের আত্মতা প্রতিষ্ঠার তাগিদে, পলায়নপর মুহুর্তকে ধরে রাখার প্রয়োজনে আহসান হাবীব। আহসান হাবীব একই সঙ্গে গ্রামীণ জীবন ও জনপদের মিশ্রিত ভাষ্যকার এবং নাগরিক রুচি, নাগরিক জীবন ও বৈদগেন্ধ্যর কবি। তাঁর কবিতায় মর্বিড দাগ যেমন আছে, তেমনি আছে অপ্রাপ্তির বঞ্ছনা ও যন্ত্রণা। এক অবৈকল্য নৈরাত্মসিদ্ধি আহসান হাবীবের কবিতার অন্যতম অন্বিষ্ট। তবে তিনি ঐতিহ্যের স্বীকৃতিতে অকপট, উদ্দম আবেগকে সংযমে সিদ্ধি দিতে সচেষ্ট। পাশপাশি তিনি এ-ও বিশ্বাস করেন যে, আধুনিক কবিতা রোমান্টিক কবিতারই বংশধর। কবি লেখেন :-

আমি বড় অসুখী। আমার আজন্ম অসুখ। না না

অসুখে আমার জন্ম।
এইসব মোহন বাক্যের জলে ফেলে
পৃথিবীর বালক-স্বভাব কিছু বয়স্ক চতুর জেলে
মানব-সাগরে।
[অসুখ]

(2) খেতে খেতে সর্বগ্রাসী ক্ষুধায় যখন নিজের গ্রাসের মধ্যে
নিয়ে যাবে সমস্ত আঁধার
তখন হঠাৎ
জনপদে আলোর বর্তিকা। তুই-ই বল
আজো তার আঁধার ভক্ষণ
শেষ কি হলো না, তার
আত্মহননের
এখনো কি সময় আসেনি?
[দাদাজান বলতেন, দু’হাতে দুই আদিম পাথর]

নারীপ্রেমের নতুন মানচিত্র তৈরি করেছেন আহসান হাবীব। এটিতো সত্য কথা যে, আমাদের সাহিত্যের বিরাট এক এলাকা দখল করে আছে নদী, নারীপ্রেম। সংগ্রামের ক্যানভাসে নর-নারীর রহস্যময় সম্পর্ক আহসান হাবীবের কবিতায় ওঠে আসে রক্ত-মাংসে-অস্থিমজ্জাসহ রক্তাক্ত নগ্নতায়। কী এক অপার বিস্ময়ে অবাক কবি নারীকে অবলোকন করেছেন। কবি লেখেন :-
“মিছিলে অনেক মুখ
আর সেই মুখের আভায়
পথের ধুলোয় দেখো আজো জ্বলে,
জানালার মুখ
উদ্ভাসিত এবং চঞ্চল।
মা বলে আমার দোয়া
বোন বলে আছি অপেক্ষায়
ফুলের সম্ভার নিয়ে,
প্রিয়ার দু’হাত
প্রার্থনায় উত্তোলিত
পথের জনতা
ছড়ায় অসংখ্য ফুল উচ্চ কণ্ঠে বলে জয় হোক।”
[মিছিলে অনেক মুখ, আশায় বসতি]

গ্রামীণ জনপদের সঙ্গে আহসান হাবীবের জীবন গাঁথা। আবার তিনি নগরমনস্ক কবি-ও। নগর জীবনের লীলা-বৈচিত্র্য, ছলা-কলা, কূট-কৌশল তাঁর কবিতায় ওঠে আসে কবির আপন দক্ষতায়। জীবনের অচরিতার্থতা, যুগমানসের সংশয় ও যন্ত্রণার অঙ্গীকার আহসান হাবীবের কবিতাকে দিয়েছে বিশেষত্ব। সমাজমানসের পলায়নী মনোবৃত্তিকে ধারণ করেছে তাঁর কবিতা। দুঃখ-বেদনা-ব্যর্থতায় ভরা জীবনে যে রক্তক্ষরণ, এরই সূত্র ধরে তাঁর কবিতায় ছায়া ফেলেছে ক্লান্তি এবং অবসন্নতা। কবি হিসেবে আহসান হাবীব জীবনের সামগ্রিক সত্য থেকে তাঁর কাব্য প্রেরণীর উৎস সন্ধান করে ফেরেন। জীবনের সমস্যা-সংকট, দুঃখ-বেদনা-ব্যর্থতা, সংগ্রাম- আন্দোলন তাঁর কবিতায় জাগ্রত সচেতন মানসকে উন্মোচন করে। উপরে উল্লেখিত কাব্যাংশ সে সত্যই বহন করে।  
মানবীয় আত্মচ্যুতির (Alienation of Self) বিভিন্ন প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ ওঠে এসেছে আহসান হাবীবের কবিতায়। শোষিত, লাঞ্ছিত মানবাত্মার আর্তনাদ ভাষিক কাঠামো লাভ করে তাঁর কবিতায়। এ যেনো অনেকটাই ইস্ফাইলাসের  (Prometheus  Bound) এর মর্মবাণী। আহসান হাবীব ভালো করেই জানেন যে, জাগ্রত চৈতন্যই খুলে দিতে পারে উন্মোচনী দৃষ্টি। আত্মঅভিব্যক্তির নিজস্ব চরিতমানসের অভিক্ষেপে অপ্রহত এ কবির কবিতা সত্তাস্বরূপের প্রস্থানভূমি (Background) হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কবি লেখেন :

“মুখোমুখি ফ্ল্যাট
একজন সিঁড়িতে, একজন দরজায়
: আপনারা যাচ্ছেন বুঝি?
: চলে যাচ্ছি, মালপত্র উঠে গেছে সব।
: বছর দুয়েক হল, তাই নয়?
: তারো বেশি। আপনার ডাকনাম শানু, ভালো নাম?
: শাহানা, আপনার?
: মাবু।
: জানি।
: মাহতাব হোসেন। আপনি খুব ভালো সেলাই  জানেন।
: কে বলেছে? আপনারতো অনার্স ফাইনাল, তাই না?
: এবার ফাইনাল।
: ফিজিক্স-এ অনার্স।
: কী আশ্চর্য! আপনি কেন ছাড়লেন হঠাৎ?
: মা চান না। মানে ছেলেদের সঙ্গে বসে......।
: সে যাক গে, পা সেরেছে?
: কী করে জানলেন?
: এই আর কি! সেরে গেছে?
[দোতলার ল্যান্ডিং মুখোমুখি দু’জন]

আহসান হাবীবের কবিতার ‘Personal Thought’, ‘Public Thought’ এ পরিণত হয়। যার আপন অস্তিত্বের অনুভব দেশ, মাটি, মানুষকে ঘিরে। আহসান হাবীবের কবিতায় জাতীয় চৈতন্য মহিমান্বিত রূপ লাভ করেছে। তাঁর কবিতা সমাজ-জীবনের প্রতিবিম্ব। জনজীবনের হতাশার, ব্যর্থতার এক যুগযন্ত্রণার করুণ অধ্যায় তাঁর কবিতা। অন্তরে ও আত্মায় নিজেকে তিনি দুর্গত মানুষের মধ্যে সঁপে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। গণচেতনার মূলপ্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরম আশাবাদ ব্যক্ত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছিলো বলেই সত্তর দশকের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়েও তিনি তাঁর কাব্যগ্রন্থের নাম রাখেন ‘আশায় বসতি’। অন্তরে ও আত্মায় নিজেকে তিনি দুর্গত মানুষের মধ্যে সঁপে দিতে পেরেছিলেন। কবি লেখেন : 

“মিছিলে অনেক মুখ
দেখো দেখো প্রতি মুখে তার
সমস্ত দেশের বুক থরো থরো
উত্তেজিত
শপথে উজ্জ্বল।
সূর্যের দীপ্তিতে আঁকা মিছিলের মুখগুলো দেখো
দেখো দৃপ্ত বুক তার
দেখো তাঁর পায়ের রেখায়
দেশের প্রাণের বন্যা উচ্ছল উত্তাল।
[মিছিলে অনেক মুখ, আশায় বসতি]”

আহসান হাবীবের কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে : ‘রাত্রিশেষ (1947)’, ‘ছায়াহরিণ (1962)’, ‘সারা দুপুর (1964)’, ‘ আশায় বসতি (1974)’, ‘মেঘ বলে চৈত্রে যাবো (1976)’, ‘দু’হাতে দুই আদিম পাথর (1980)’, ‘প্রেমের কবিতা (1981)’, ‘বিদীর্ণ দর্পণে মুখ (1985)’, ‘সোনার বাংলা (1971)’।

পেশায় সাংবাদিক, কিংবদন্তীতুল্য সাহিত্য সম্পাদক আহসান হাবীব ছিলেন দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্যে তিনি ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার (1951), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (1977), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (1964), নাসির উদ্দীন স্বর্ণপদক (1977), একুশে পদক (1978), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরসকার (1980), আবুল কালাম স্মৃতি পুরস্কার (1984) এবং স্বাধীনতা পুরস্কার (1994) লাভ করেন।

আহসান হাবীবকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কবিতার ভূগোল চিন্তা করা যায় না। খাঁটি ও জাত কবির সত্তা নিয়েই কবিতায় তিনি নিজেকে বিস্তৃত করেছেন। ছন্দে লেখা কবিতায়ও তিনি গদ্যের সরল প্রবহমানতা দিতে পারতেন। ললিত ও গীতল কাব্যভাষার সঙ্গে ঋজ্জু গদ্যের সন্নিপাত ঘটানো আহসান হাবীবের মতো কবির পক্ষেই সম্ভব। কবিতায় তিনি দেশজ কথা, ভাব প্রয়োগ করেও আশ্চর্য প্রবহমানতা দেখিয়েছেন। আহসান হাবীবের বাকভঙ্গি, চিত্রকল্প ও উপমার ব্যবহার-সব কিছুতেই তিনি নতুন গন্তব্যের সন্ধানী। কবি লেখেন :

“আমাদের দুই মুখো মন
এক মুখে উদ্ধত বন্ধকী জীবনের সুনিপূণ ঋণ।
তারি পাশে ভাঙ্গাচোরা আধপোড়া ইটের গাঁথুনি
আকাশকে সেতু বাঁধবার।”
[কনফেশনে, রাত্রিশেষ]

আহসান হাবীবের কবিতা বিষয়ানুগ ও স্বতশ্চল। এ সত্যের দ্যোতনা নিয়েই কবিতাকে তিনি নির্মাণ এবং সযত্ন চর্চিত করার প্রয়াস পেয়েছেন। তাঁর কুশলী হাতের স্পর্শে ভাষার বহমান প্রবণতার সঙ্গে তাঁর ব্যাকুল চিত্তের সখ্য রয়েছে। তাঁর কবিতায় একটি মৌলিক উপলব্ধির, একটি মৌলিক ধারণার বা চেতনার উন্মোচন লক্ষ্য করা যায়। তিনি জানেন যে, বোধের সামগ্রিকতা একটি পূর্ণ উপলব্ধিকে নির্মাণ করে। বোধের করতলে মজ্জাগত স্বয়ংসম্পূর্ণতায় পূর্ণায় যা প্রকাশ পায়, তা সমষ্টিত চৈতন্যকে শানিত করলেও এর স্বাতন্ত্র্য আবিস্কারও স্বাভাবিকভাবে সম্ভব। কবি লেখেন :


“সেই রাত্রে নিশি পাওয়া এক গ্রাম্য কিশোরের মতো
নেমে গিয়েছিলে
অন্ধকার নিশিন্দার নিচে
বিহ্বল দাঁড়িয়ে ছিলে
শুনেছিলে জয়নালের বাঁশি।”
[পারঙ্গম একজন]

গভীরতর জীবন-সত্যের কবি আহসান হাবীব। সমাজের বহিদ্বর্ন্দ্বকে তিনি আন্তরিকতায় রূপান্তরিত করেন। সমাজের বিপুল বিরূপতা আহসান হাবীবের চোখ এড়ায়নি। কবিতা-কর্মে তিনি জনতা-ঘনিষ্ট। তাঁর কবিতা সমাজ-বাস্তবতার উপরিতল স্পর্শ করে জ্যামিতিক জ্যা-এর মতো; এটি যেমন সত্য-তেমনি সত্য আহসান হাবীবের কবিতার ভিতর-বাহির।

সভ্যতা আহসান হাবীবের চোখে খেলা করে গেছে, তাঁর সঙ্গে গড়েছে সখ্য। অন্য সব সচেতন মানুষের মতো কবিও তৎপর মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায়। পাশাপাশি সভ্যতার ধ্বংসাত্মক ছবি কবিকে স্বাভাবিক ভাবেই আহত করে। তিনি ধ্বংসাত্মক সভ্যতার পুনর্বাসন চেয়ে উচ্চারণ করেন :

“বিশাল এবং ব্যাপ্ত
তার কবলে এই সৌন্দর্য ও সভ্যতা
প্রেম এবং প্রত্যাশার সে প্রতিদ্বন্ধী
চাঁদ এবং নক্ষত্রের প্রতিপক্ষ।
[নীল নক্সা]”

আহসান হাবীব সৌন্দর্য ও আনন্দের উপাসক। জীবনের আনন্দে তিনি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন আনন্দলোক। সেই আনন্দলোক বিরূপ বিশ্ব নির্মাণ করতে দেয়নি। আনন্দের বদলে কবি পেয়েছেন আশাভঙ্গের বেদনা, হতাশাল বালুচরে বেঁধেছেন বাসা। ফলে শূণ্যতা, হাহাকার, অপ্রাপ্তি কবিকে পলে পলে দহন করেছে। তারপরও জীবনজিজ্ঞাসার এই কবি আশাবাদী থেকেছেন। 



লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক, কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট এবং সহকারী অধ্যাপক (বাংলা), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, আশুলিয়া, ঢাকা।

১৬৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সাহিত্য নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন