সর্বশেষ

জাতীয়

ভারত থেকে ফেরত আনার দাবি ফকির লালনের হারানো পাণ্ডুলিপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:২৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
প্রায় ১৩৫ বছর আগে বাংলার বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি কলকাতার শান্তিনিকেতনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপি ছিল কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আশ্রমের সম্পত্তি। এবার সেটি ফেরত আনার আনুষ্ঠানিক দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

 

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন ২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন পাঠান। আবেদনে বলা হয়েছে, লালন শাহের জীবদ্দশায় তাঁর শিষ্য ভোলাই শাহ ও মানিক শাহের মাধ্যমে ৫০০টিরও বেশি গান দুইটি খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে অবস্থানকালে এর একটি খাতা নিয়ে যান, যা এখন ভারতের শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত।

 

ডিসির আবেদনপত্রে উল্লেখ রয়েছে, “কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন একাডেমিতে লালনের গানের মূল খাতাটি ফেরত এনে সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি। এটি শুধু লালন গবেষণার ভিত্তি নয়, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও এক অমূল্য সম্পদ।”

 

জানা যায়, শান্তিনিকেতন থেকে পাণ্ডুলিপিটির একটি কপি বা প্রতিলিপি বহু আগে বাংলাদেশে পাঠানো হলেও মূল খাতাটি আর ফেরত আসেনি। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই খাতায় লেখা রয়েছে ৩১৪টি মৌলিক গান, যার প্রতিটি বাউলধর্ম, মানবতা ও দেহতত্ত্বচিন্তার অমূল্য দলিল।
ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, “ফকির লালন সাঁইয়ের গানের মূল পাণ্ডুলিপি ফেরত আনতে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় এটি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা চলছে।”

 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই আবেদনটি গ্রহণ করেছে এবং প্রাথমিক যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সরকার আলোচনা-পর্যায়ে আছে।

 

লালনভক্ত ও গবেষকদের মতে, পাণ্ডুলিপিটি ফেরত এলে বাংলার লোকসংস্কৃতি ও বাউল ঐতিহ্যের অন্যতম উৎস আবার নিজের মাটিতে ফিরে আসবে। তাঁদের মতে, “এটি শুধু ইতিহাসের সম্পদ নয়, আমাদের জাতির আত্মার দলিল।”

 

উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি লালনের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর উদযাপন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মূল পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার বিষয়টিও এখন সরকারি অগ্রাধিকারে রয়েছে।

১৬৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন