সর্বশেষ

জাতীয়

এইচএসসি ফলাফলের সংখ্যা নয়, শেখাই হোক মূল মূল্যায়ন : শিক্ষা উপদেষ্টা 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ৮:২৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, যেখানে গত বছর এই হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ।

অর্থাৎ, পাসের হার কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। এছাড়া, এবার জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী—যেটিও আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

এই ফলাফল নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, “ফলাফল মানে শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়; এটি পরিবার, আশা, পরিশ্রম এবং ভবিষ্যতের গল্প।”

তিনি জানান, যেসব শিক্ষার্থী ভালো ফল করেছে, তাদের অভিনন্দন জানানো উচিত। একই সঙ্গে যারা প্রত্যাশিত ফল পায়নি, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তটিও শেখার একটি অংশ। পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না।”

ফলাফল নিয়ে জনমনে যে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমন হঠাৎ পাসের হার ও জিপিএ–৫ কমেছে - তার জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “উত্তরটি জটিল নয়, বরং সহজ কিন্তু অস্বস্তিকর।”
তার ভাষায়, বাংলাদেশে শেখার সংকট শুরু হয় শিক্ষা জীবনের শুরুতেই। প্রাথমিক স্তর থেকেই যে ঘাটতি তৈরি হয়, তা বছরের পর বছর ধরে জমা হয়। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে এই বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

অধ্যাপক আবরার বলেন, “আমরা এমন এক সংস্কৃতি তৈরি করেছি যেখানে পাশের হার এবং জিপিএ–৫-ই সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এতে করে শেখার প্রকৃত সংকট ঢাকা পড়ে গেছে। এখন সময় এসেছে এই সংস্কৃতির পরিবর্তন আনার।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থা এমন হোক, যা বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। শিক্ষার্থীর শেখাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করাটাই হওয়া উচিত সাফল্যের আসল মানদণ্ড।”

এসএসসি ফল প্রকাশের পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, সেগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি- ভবিষ্যতের পরীক্ষায় সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে। তবে ফলাফলের বাস্তবতা যেন বিকৃত না হয়।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে তুষ্টি খোঁজার পথ নয়, বরং ন্যায্য নম্বর দিয়ে সততার পথে হাঁটছি। এই সিদ্ধান্ত কঠিন, কিন্তু জরুরি।”

শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডকে তাদের নিজস্ব মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য একটি পৃথক রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হচ্ছে, যারা তথ্য বিশ্লেষণ করে শেখার মূল সংকটগুলো চিহ্নিত করবেন।

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন