সর্বশেষ

সারাদেশ

কুষ্টিয়ার হাটে সরকারি ইজারা ছাড়াই চলছে চাঁদাবাজি

মোঃ আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
মোঃ আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লাহরদর্গা হাটে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

ইজারার নামে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা হলেও, এই হাটের ইজারা সরকারিভাবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি হাটবারে ‘ইজারাদার’ পরিচয়ে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক অর্থ আদায় করছে। টাকা না দিলে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে, এমনকি অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইমামুল নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি তার পালিত কবুতর ৮০০ টাকায় বিক্রি করলে ‘ইজারাদার’ পরিচয়ে রানা নামে এক ব্যক্তি তার কাছে ৫০ টাকা দাবি করেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে রানা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং হুমকি দেন। ইমামুল ভয়ে টাকা দিলেও রশিদ চাইলে আরও হুমকির মুখে পড়েন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানা নামে ওই ব্যক্তি জাকির হোসেন নামের এক কথিত ইজারাদারের পক্ষে টাকা আদায় করে থাকেন। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জাকির হোসেন দাবি করেন, “আমরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করি না, শতকরা ৫ টাকা হারে ইজারা নিই।” অন্যদিকে সাচ্চু নামে আরেকজন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা। যিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে নিয়ে আমার কাছে আসেন।”

তবে উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানিয়েছে, আল্লাহরদর্গা হাট সরকারিভাবে এখনো ইজারা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে তহশিলদার আনিসুর রহমান বলেন, “সরকার কাউকে ইজারা দেয়নি। হাট প্রশাসনের নির্দেশে আমি কালেকশন পরিচালনা করছি। তবে শতকরা ৫ টাকা হারে আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। কেউ আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “এই হাট সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়নি। তহশিলদারের মাধ্যমেই কালেকশন হচ্ছে। শতকরা ৫ টাকা আদায়ের বিষয়ে তদন্ত চলছে।”

স্থানীয়রা জানান, শুধু আল্লাহরদর্গা হাটই নয়, দৌলতপুর উপজেলার আরও কয়েকটি হাটেও টেন্ডার বা বৈধ নথি ছাড়াই একদল চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করে আসছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত এ ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, যাতে হাটে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকে এবং ব্যবসায়ীরা নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।

১২৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন