বাংলাদেশে তরল গ্যাস আনা জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইরানের পেট্রোলিয়াম ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) রপ্তানিতে সহায়তা করার অভিযোগে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন অর্থ বিভাগের অধীনস্থ অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়।
ওএফএসি জানায়, নিষেধাজ্ঞা আরোপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ অমান্য করে পরিচালিত একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা, যার মাধ্যমে ইরান বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি পণ্য রপ্তানি করে আসছিল। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাতেও ইরানি এলপিজি সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কিছু জাহাজের মাধ্যমে ২০২৪ সালের শেষ দিকে এবং ২০২৫ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে ইরানি এলপিজি পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার টনেরও বেশি এলপিজি বহনকারী পানামার পতাকাবাহী ‘গ্যাস ডিওর’ এবং কোমোরোসের পতাকাবাহী ‘আদা’ (পূর্বের নাম ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’) নামের দুটি জাহাজের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান—স্লোগাল এনার্জি ডিএমসিসি এবং মারকান হোয়াইট ট্রেডিং ক্রুড অয়েল অ্যাবরোড কোম্পানি এলএলসি—দক্ষিণ এশিয়ায় ইরানি এলপিজি সরবরাহে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়া, ‘ক্যাপ্টেন নিকোলাস’ নামের একটি জাহাজে গত বছরের ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আগুন লাগার ঘটনাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রায় ৩৪ হাজার টন এলপিজি বহনকারী এই জাহাজটি কয়েক মাস আটকে থাকার পর চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় গ্যাস স্থানান্তরের অনুমতি পায় এবং বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা রয়েছে।
যদিও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোনো বাংলাদেশি কোম্পানি বা সরকারি সংস্থার নাম নেই, তবে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর মাধ্যমে ইরানি জ্বালানি পৌঁছানোর কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরদারির আওতায় পড়েছে। ওএফএসি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, নিষিদ্ধ লেনদেনে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ কার্যকর হতে পারে, যার ফলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার হারাতে পারে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, “এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের জ্বালানি রপ্তানির সক্ষমতা হ্রাস করতে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের নীতিরই অংশ।”
১০৭ বার পড়া হয়েছে