চাটমোহরের নলডাঙায় প্রথমবারের মতো এমপি প্রার্থীর পদচারণা

শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ৭:০৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
স্বাধীনতার পর এত বছর পার হলেও কোনো এমপি বা প্রার্থী আসেননি চাটমোহরের হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নলডাঙা গ্রামে।
দীর্ঘদিনের সেই অবহেলা আর উন্নয়ন বঞ্চনার আক্ষেপ যেন ঝরে পড়ছিল ৭০ বছরের বৃদ্ধ কৃষক মোকছেদ সরকারের কণ্ঠে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে তিনি বলেন, "দ্যাশ স্বাধীনের পরে এত বছরেও আমাগোরে এলাকায় কুনুদিন কুনু এমপি প্রার্থী আসে নাই। এমনকি কুনু এমপিও আসে নাই। সে জন্যই কুনু উন্নয়ন হয় নাই। আমরা কিরম কইরা বাস করতিছি, কেউ কুনুদিন খবরও লেয় নাই।"
কৃষক মোকছেদসহ স্থানীয়দের মুখে এমন কথা উঠে আসে, কারণ বৃহস্পতিবার নৌকাযোগে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সেই বিলবেষ্টিত প্রত্যন্ত গ্রামে গণসংযোগে যান পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা।
নলডাঙা ও আশপাশের স্থল গ্রামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “স্বাধীনতার এত বছর পরও এই গ্রামে একটি কাঁচা রাস্তা পর্যন্ত হয়নি। এত এমপি এলেন, গেলেন, কিন্তু কেউ উন্নয়নের কথা ভাবেননি। কারণ, অধিকাংশই ছিলেন বহিরাগত, যাদের মাটি ও মানুষের সঙ্গে কোনও সংযোগ ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “এবার আর বহিরাগত নয়, আমরা চাটমোহরের স্থানীয় প্রতিনিধি চাই। যারা আমাদের দুঃখ-কষ্ট বোঝেন, আমাদের পাশে থাকেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, নির্বাচিত হলে উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাগুলোর ঘরে ঘরে উন্নয়নের আলো পৌঁছে দেব। দুর্নীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ করব।”
চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে পরদিন শুক্রবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চাটমোহর উপজেলার মহেলা বাজার, আড়িংগাইল বাজার, বেজপাড়া ও বালুদিয়ার বাজারে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করেন হাসানুল ইসলাম রাজা। সেখানে তিনি সবাইকে চাটমোহর থেকে ধানের শীষ প্রতীকের স্থানীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
১০৬ বার পড়া হয়েছে