রাকসু নির্বাচন জমে উঠেছে, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

বৃহস্পতিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২:০৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ ছুটি ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মসূচির কারণে স্থবির হয়ে পড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন আবারও জমে উঠেছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দাবিতে চলা শাটডাউন কর্মসূচির পর ক্যাম্পাসে ফিরেছে নির্বাচনি উন্মাদনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, চায়ের দোকান, মেস ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনভর প্রার্থীদের প্রচারণা চলছে পুরোদমে। রাকসুর ২৩টি পদে এবার লড়ছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ১৮ জন, জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ১৩ জন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জিএস (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। যার মধ্যে নারী ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। সিনেট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ৩০৬ জন এবং হল সংসদে প্রার্থী হয়েছেন আরও ৬০০ জন।
নির্বাচন কমিশন প্রচারণার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটার মো. ফাহিম বলেন, "২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। পরে তা পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। এতে আমেজ কিছুটা কমে গেলেও এখন আবার নির্বাচনি উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রার্থীরা রুমে রুমে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।"
স্বতন্ত্র নারীবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সামসাদ জাহান বলেন, "ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে ফিরেছে, প্রচারণা চালাতে ভালো লাগছে। ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।"
এদিকে, প্রচারণা চালাতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে।
ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন আবীর বলেন, "দীর্ঘ ছুটির পর আবার প্রচারণায় ফিরেছি। শিক্ষার্থীদের নানা দাবি আমাদের জানানো হচ্ছে, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি সেগুলো বাস্তবায়নের।"
শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, "পোষ্যকোটা ইস্যুতে কিছুটা আমেজ কমে গিয়েছিল, এখন আবার উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরেছে।"
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ. নজরুল ইসলাম জানান, “নির্বাচন পেছানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তবে আমরা সব সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। এবার ১৬ অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হবে – এটা নিশ্চিত। নির্বাচন পেছানোয় বাজেট বাড়বে, তাই প্রার্থীদেরও কিছুটা বাড়তি খরচ হবে।”
তিনি আরও বলেন, "প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি মেনে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রচারণা চালায়, সে বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে।"
১০৭ বার পড়া হয়েছে