চিঠি নয়, দুর্নীতির ছাপ; মুখ থুবড়ে পড়ছে ডাকসেবা

বৃহস্পতিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
প্রযুক্তির বিকাশে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে চিঠি, মানি অর্ডার ও ডাক সেবা। ই-মেইল, মেসেঞ্জার ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সহজলভ্যতায় এখন পোস্ট অফিস যেন কেবল স্মৃতির অংশ।
দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সেবা না থাকায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকছে বেসরকারি কুরিয়ার কোম্পানির দিকে। অথচ ডাক সেবার আধুনিকায়নে বিগত দেড় দশকে ব্যয় হয়েছে হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে এসব প্রকল্পে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপচয়ের চিত্রই স্পষ্ট।
আজ ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘জনগণের জন্য ডাক: স্থানীয় পরিষেবা, বৈশ্বিক পরিসর’। দিনটি ঘিরে ডাক বিভাগ হাতে নিয়েছে দুদিনব্যাপী কর্মসূচি।
২০১২ সালে শুরু হওয়া পোস্ট ই-সেন্টার প্রকল্পে ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৮ হাজার ডাকঘর আধুনিকায়নের কথা থাকলেও বেশিরভাগ সেবাই আজ অচল বা অনুপস্থিত। একইভাবে ৩৬৫ কোটি টাকার মেইল প্রসেসিং সেন্টার প্রকল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে না প্রায় সব যন্ত্রপাতি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব প্রকল্প ছিল মূলত কেনাকাটাভিত্তিক দুর্নীতির জন্য। তদন্তে যন্ত্র কেনায় ১০-২০ গুণ বেশি দাম দেখানোর প্রমাণ মিলেছে। সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এসব অনিয়ম হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ডাক বিভাগের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ সালে যেখানে ৪ কোটি ৫৪ লাখ চিঠি-পার্সেল পাঠানো হয়েছিল, সেখানে এখন তা কমে এসেছে দুই কোটির নিচে। মানি অর্ডার ও ইএমএস সেবাও কমেছে অর্ধেকে।
১০৪ বার পড়া হয়েছে