ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটে আটকা পরিবহন উপদেষ্টা

বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ ৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যানজট পরিদর্শনে গিয়ে নিজেই দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়লেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
বুধবার সকালে তিনি ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং আশুগঞ্জের হোটেল ‘উজানভাটিতে’ যাত্রাবিরতি করেন। পরে হোটেল ত্যাগ করে সরাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হলে আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর এলাকায় তীব্র যানজটে পড়েন তিনি।
আশুগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আলম জানান, “উপদেষ্টা বাহাদুরপুর মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটে আটকে পড়েন। ধীরে ধীরে গাড়ি এগিয়ে এখন বেড়তলায় অবস্থান করছেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকেই আশুগঞ্জের সোহাগপুর থেকে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশের ভাষ্য, সড়কের এক পাশে মালামাল রেখে সংস্কারকাজ এবং রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
প্রসঙ্গত, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। এতে করে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সড়কপথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগছে।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। সরকার পরিবর্তনের পর দেশীয় অর্থায়ন ও ভারতীয় ঋণে পরিচালিত এই প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশত্যাগ করেন এবং তাদের মালামালের একটি অংশ খোয়া যায়। তিন মাস পর তারা পুনরায় কাজ শুরু করলেও গতি আশানুরূপ হয়নি।
৫ আগস্টের পর কাজের গতি আরও মন্থর হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির দাবির ভিত্তিতে সরকার সম্প্রতি অতিরিক্ত ১৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সেপ্টেম্বরের শেষে।
উপদেষ্টার আগমনের খবরে গত রোববার থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্ট ১২ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ পূরণের কাজ শুরু হয়। তবে এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চলায় গত তিনদিন ধরেই সেখানে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
১১৫ বার পড়া হয়েছে