লোহাগড়ায় গৃহবধূর মৃত্যু, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ৬:১৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর-শালনগর গ্রামে জান্নাতি খানম অন্তু (২৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী সাজ্জাদ মোল্যা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত জান্নাতি খানম অন্তু চর-শালনগর গ্রামের সাজ্জাদ মোল্যার স্ত্রী এবং রঘুনাথপুর গ্রামের মিটুল মোল্যার মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জান্নাতির সাথে সাজ্জাদের বিয়ে হলেও তিনি পূর্বে বিবাহিত ছিলেন এবং সেই বিয়ের কথা গোপন রেখেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
গত ২ অক্টোবর দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি রঘুনাথপুরে যান। পরে ৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে সাজ্জাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অটোভ্যানে করে পুনরায় শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান। তবে এরপরই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়।
বেলা দেড়টার দিকে সাজ্জাদের ছোট ভাই ফোনে অন্তুর ভাই সাব্বিরকে জানান, অন্তু স্ট্রোক করেছে এবং তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বলেন। তবে হাসপাতালে গিয়ে অন্তুর সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যায় মেয়েকে খুঁজতে জামাইয়ের বাড়িতে যান বাবা মিটুল মোল্যা। সেখানে গিয়ে বাড়ির সামনে একটি ভ্যানে মৃত অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বাবা মিটুল মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, "আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সাজ্জাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারপরই সবাই পালিয়ে গেছে।"
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা পলাতক থাকায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১০৩ বার পড়া হয়েছে