এথেন্সে ফিরে ইসরাইলি গণহত্যার খবর প্রকাশ করলেন থুনবার্গ

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ ৬:০১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সুইডিশ জলবায়ু ও মানবাধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই একটি গণহত্যা চলছে—এটি একটি লাইভস্ট্রিমড গণহত্যা।”
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে পৌঁছান থুনবার্গ। এথেন্স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে এবং অন্যান্য অধিকারকর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সমর্থকেরা। অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।
এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে থুনবার্গ বলেন, “আমাদের কারাবন্দি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়, কিন্তু সেটাই মূল বিষয় নয়। আসল গল্প হলো—গাজায় মানুষ কীভাবে প্রতিদিন মরছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ কেউ বলতে পারবে না—‘আমরা জানতাম না’। এটা একটা সরাসরি সম্প্রচার হওয়া গণহত্যা। ইসরায়েল সুস্পষ্টভাবে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এটি সহিংসতার মাধ্যমে গণহত্যার উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টা।”
ইসরায়েলি দখল ও অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারে রাখা হচ্ছে। মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে, এটা ভাবা কঠিন।”
গ্রেটা জানান, গাজায় সহায়তা পৌঁছে দিতে গঠিত 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক। তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে মানবাধিকারকর্মীদের আটক করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি মূলত আমাদের নিজেদের সরকারগুলোর ব্যর্থতারই প্রতিফলন। রাষ্ট্রগুলোর গণহত্যায় জড়িত না থাকার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে, কিন্তু তারা সে দায়িত্ব পালন করছে না।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইসরায়েল এই গণহত্যা থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না।”
গত সপ্তাহে গাজাগামী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪০টির বেশি নৌযান থেকে ৪৭৯ অধিকারকর্মীকে আটক করে ইসরায়েল। এদের মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৭১ জনকে সোমবার ফেরত পাঠানো হয়। এর আগের তিন দিনে আরও ১৭০ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন।
১২৩ বার পড়া হয়েছে