গভীর জীবনবোধের কবি গাউসুর রহমান

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে যুগে যুগে এমন কিছু কবি এসেছেন, যাদের লেখনী শুধু শব্দের বুনন নয়, বরং জীবনের গভীরতম অনুভূতির প্রতিচ্ছবি। গাউসুর রহমান তেমনই একজন কবি, যাঁর কবিতায় একাধারে ফুটে উঠেছে বিপন্ন মানবতা, সামাজিক বৈষম্য, প্রেম-বিরহের অন্তহীন আরাধনা এবং অস্তিত্বের জটিল মারপ্যাঁচ।
তাঁর কবিতা কেবল নিছক কাব্যপাঠ নয়, বরং এক গভীর জীবনবোধের সঙ্গে পাঠকের আত্মিক সংযোগ স্থাপন করে। জীবন ও জগৎকে যে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তিনি পর্যবেক্ষণ করেন, তা তাঁর শব্দচয়নে, চিত্রকল্পে এবং উপমায় এক অনবদ্য শৈল্পিক রূপ লাভ করেছে।
গাউসুর রহমানের কবিতায় সমকালীন সমাজ ও মানুষের দুঃখ-কষ্ট, সংগ্রাম, আশা-নিরাশা এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিদ্যমান বৈষম্য, নিপীড়ন এবং মানুষের অসহায়ত্বের চিত্র বারবার এঁকেছেন। তাঁর কবিতায় আমরা দেখতে পাই, কীভাবে সাধারণ মানুষ জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত হয়, কীভাবে তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ‘অন্ধকারও শব্দ করতে জানে’ কবিতাটিতে তিনি জীবনের ক্লান্তি, মানসিক টানাপোড়েন এবং সমাজের যান্ত্রিকতার এক নিপুণ চিত্র এঁকেছেন।
"আজকাল অন্ধকারও শব্দ করে আসে গানেও বেজে চলে অন্ধকারের শব্দ জীবনের রেখা কবেই কুঁচকে গেছে মন মেজাজ খিঁচড়ে আছে কবে থেকেই ।"
এখানে কবি জীবনের অবসাদ ও হতাশার এক গভীর চিত্র তুলে ধরেছেন। 'অন্ধকারও শব্দ করে আসে' – এই চিত্রকল্পটি কেবল একটি ভৌতিক অনুভূতি নয়, বরং সমাজের গুমোট পরিবেশ, চাপা দীর্ঘশ্বাস এবং অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। জীবনের রেখা কুঁচকে যাওয়া এবং মন মেজাজ খিঁচড়ে থাকা - এগুলো মানুষের দীর্ঘদিনের যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ। তিনি আরও বলেন,
"দৌড়াতে দৌড়াতে ঘেমে যাই, ঘাম মুছি মুছতে পারি না কিছুতেই ক্লান্তি সুরে না বাঁধা জীবন নিয়ে কতো দূর আর যাওয়া যায়, পুরোনোগন্ধী নাম আজকাল আর উচ্চারণ করি না ।"
এই পঙক্তিগুলোতে জীবনের নিরন্তর সংগ্রাম ও ক্লান্তি স্পষ্ট। জীবনের সুর হারিয়ে যাওয়া এবং পুরোনোগন্ধী নাম উচ্চারণ না করা – এই বিষয়গুলো এক ধরনের আধুনিক মনস্তাত্ত্বিক অবসাদ ও বিচ্ছিন্নতাবোধকে নির্দেশ করে।
তাঁর কবিতায় ব্যক্তি মানুষের ভেতরের দ্বন্দ্ব ও আত্ম-অন্বেষণও প্রবলভাবে উপস্থিত। ‘মনের মধ্যে কতো রকম টানাপোড়ন চলে / নিজের সঙ্গে নিজেই তর্ক বিতর্ক করি,’ – এই কথাগুলো মানুষের ভেতরের দ্বিধা, সংশয় এবং আত্ম-জিজ্ঞাসার প্রতিফলন। তিনি জীবনের নানা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব কষেন, যা আমাদের নিজেদের জীবনেরই প্রতিরূপ।
"পুড়তে থাকে প্রেম পুড়তে পুড়তে দগ্ধ হয় খুঁজতে থাকি জীবনের জয় পরাজয় তোমার সব কিছু এই হৃদয়ে বসে রয় ।"
এই অংশটিতে তিনি মানুষের জীবনের প্রেমের জটিলতা, তার দহন এবং জয়-পরাজয়ের অন্বেষণকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। প্রেম যেখানে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, আবার সেই প্রেমই জীবনকে চালিত করে। মানুষের প্রেম এবং মোহ এর পার্থক্য না বোঝা, যা অধঃপতনের দিকে ঠেলে দেয়, তাও তিনি স্পষ্ট করেছেন।
গাউসুর রহমানের কবিতার অন্যতম প্রধান শক্তি হলো তাঁর ভাষা, চিত্রকল্প এবং প্রতীকের সার্থক ব্যবহার। তিনি প্রথাগত কাব্যিক ভাষাকে নতুন ভাবে ব্যবহার করেছেন। তাঁর শব্দচয়ন অত্যন্ত শক্তিশালী ও অর্থবহ। তিনি সাধারণ শব্দকে অসাধারণ ব্যঞ্জনা দিতে সক্ষম।
তাঁর ভাষা কখনো সরল, কখনো বা গভীর ভাবনায় ভরা। তিনি অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন না, কিন্তু তা কবিতার মূল ভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। তাঁর শব্দবিন্যাস এমন যে, তা পাঠকের মনে এক বিশেষ অনুরণন তৈরি করে। 'অন্ধকারও শব্দ করতে জানে' কবিতায় 'জীবনরেখা কুঁচকে যাওয়া', 'মন মেজাজ খিঁচড়ে থাকা' – এই শব্দগুচ্ছগুলো অত্যন্ত জীবন্ত এবং বাস্তবসম্মত।
গাউসুর রহমান তাঁর কবিতায় অসাধারণ উপমা ও চিত্রকল্প ব্যবহার করেছেন, যা তাঁর কবিতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ‘কাল নিরবধি’ কবিতায় তিনি বলেন,
"আকাশে জ্যোৎস্না তবুও আমার মনের ভেতর অন্ধকার। তবুও আমি বিপুল মেঘের কিনারে। তবুও আমি পাথরে- কঙ্কালে তবুও আমি পৃথিবীর ধুলোর ভেতরে।"
এখানে চাঁদের আলো থাকা সত্ত্বেও মনের অন্ধকার, মেঘের কিনারা, পাথর, কঙ্কাল এবং পৃথিবীর ধুলোর মধ্যে নিজেকে খুঁজে ফেরা – এই চিত্রকল্পগুলো গভীর বিষণ্ণতা ও অস্তিত্বের সংকটকে নির্দেশ করে। চাঁদের আলো যেখানে আশার প্রতীক, সেখানে মনের অন্ধকার এই দুইয়ের বৈপরীত্যকে তুলে ধরে। 'বিপুল মেঘের কিনারে', 'পাথরে-কঙ্কালে' – এই উপমাগুলো জীবনের স্থবিরতা, রিক্ততা এবং ক্ষয়িষ্ণুতাকে বোঝায়।‘হৃদয়ের নামতা’ কবিতায় ‘নীলিমাকে অসীম করে / ব্রহ্মপুত্রের মতো অকূল হয়ে / হৃদয়ের নামতা পড়তো যে যখন তখন।’ – এই উপমাটি প্রেমিকার বিশালতা এবং হৃদয়কে অঙ্ক কষার মতো করে ভালোবাসা বা জ্ঞান দান করার এক সুন্দর চিত্রকল্প তৈরি করে। আবার, ‘মেয়েটিকে একসময় মনে হতো বন্দী প্রজাপতি’ – এই উপমাটিও প্রেমের স্বকীয়তা এবং তার মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে বোঝায়।
তিনি বিভিন্ন প্রতীকের মাধ্যমে গভীর ভাব প্রকাশ করেন। 'অন্ধকার' তাঁর কবিতায় কেবল আলোকের অভাব নয়, বরং জীবনের গ্লানি, হতাশা, সামাজিক অবক্ষয় এবং মানসিক শূন্যতার প্রতীক। 'ধুলো', 'পাথর', 'কঙ্কাল' – এগুলো ক্ষয়, মৃত্যু এবং স্থবিরতার প্রতীক। 'জ্যোৎস্না' কখনো আশার আলো, আবার কখনো দূরত্বের প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। 'বদ্ধ প্রজাপতি' প্রেমের স্বাধীনতা বা নিষ্পেষিত সত্তার প্রতীক।
গাউসুর রহমানের কবিতায় ছন্দের ব্যবহার বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। তিনি প্রথাগত ছন্দের বাইরে গিয়েও নিজস্ব ভঙ্গিমায় ছন্দ তৈরি করেন, যা তাঁর কবিতার মেজাজ ও ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁর কবিতার বাক্যগুলো কখনো দীর্ঘ, কখনো সংক্ষিপ্ত, যা এক ধরনের স্বতঃস্ফূর্ততা তৈরি করে। এই বৈচিত্র্য তাঁর ভাষাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
গাউসুর রহমানের কবিতার মূল আকর্ষণই হলো তাঁর গভীর জীবনবোধ। তাঁর কবিতা কেবল ব্যক্তিগত অনুভূতি বা সামাজিক আবহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা মানব জীবনের মৌলিক প্রশ্নগুলোকে স্পর্শ করে।
তাঁর অনেক কবিতায় এক ধরনের অস্তিত্বের সংকট এবং শূন্যতাবোধ লক্ষ্য করা যায়। ‘কাল নিরবধি’ কবিতার অংশগুলোয় এই শূন্যতা স্পষ্ট।
"আমার ঘুমের ভেতর ঘুম থাকে না আমার ঘুমের ভেতর আলো থাকে না রোদের ধূ ধূ নীলে আমি দেখি আমি দেখি এক মানবীর মুখ।"
এখানে কেবল বাইরের আলো বা ঘুমের অভাব নয়, বরং আত্মিক শূন্যতা ও একাকীত্ব প্রকাশ পেয়েছে। রোদের আলোয় মানবীর মুখ দেখা – এই চিত্রকল্পটি এক হারানো বা অপূর্ণ প্রেমের ইঙ্গিত দেয়, যা কবির অস্তিত্বের শূন্যতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
"গায়ে লাগেনি কোনদিন অমৃতের হাওয়া। আমার আকাশে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ে না। নীল নিখিলের নীরবতায়- আমি আঁধারে অবচেতন, চুপ হয়ে থাকি।"
এই পঙক্তিগুলোতে জীবনের প্রতি এক ধরনের তাচ্ছিল্য বা বঞ্চনার অনুভূতি স্পষ্ট। সাধারণ প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হওয়া এবং প্রকৃতির নীরবতায় নিজের উপস্থিতি হারানো – এই বিষয়গুলো কবির গভীর আত্ম-অনুধাবন ও বেদনার প্রকাশ।
প্রেম তাঁর কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এই প্রেম কেবল রোমান্টিকতার মধ্যে আবদ্ধ নয়, বরং তা জীবনেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘পুড়তে থাকে প্রেম’ কবিতায় তিনি প্রেমের দহন, তার ধ্বংসাত্মক রূপ এবং তা সত্ত্বেও জীবনের সঙ্গে তার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ককে তুলে ধরেছেন।
"কতো মানুষের রগরগে জীবন ভালোবাসায় মোড়ে রয় মানুষ পার্থক্য জানে না মোহ আর প্রেম এক নয়। ভালোবাসার নাম চলে অধঃপতনের ধূমঃ দিন শেষে রাতে চোখ ভেঙে আসে তোমার সুখের ঘুম ।"
এখানে প্রেম এবং মোহের পার্থক্য না বোঝা, যা মানুষকে অধঃপতনের দিকে নিয়ে যায়, তা তিনি স্পষ্ট করেছেন। প্রেম যেন এক অমোঘ শক্তি, যা মানুষকে দগ্ধ করে, কিন্তু জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ‘হৃদয়ের নামতা’ কবিতাতেও প্রাক্তন প্রেমিকার স্মৃতি, তার প্রতি ভালোবাসা এবং সেই স্মৃতি থেকে মুক্তি না পাওয়ার এক করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।
"আহা! জীবন- একজনমের ভুল। আমার সবকিছুই ভন্ডুল।"
এই অংশটি প্রেমের কারণে জীবনের সবকিছু ভন্ডুল হয়ে যাওয়া এবং তাকে এক জীবনের ভুল বলে মনে করার এক গভীর আক্ষেপ ও অনুতাপকে প্রকাশ করে।
গাউসুর রহমানের কবিতায় অতীত এক শক্তিশালী উপস্থিতি। স্মৃতির আনাগোনা তাঁর কবিতাকে এক ভিন্ন মাত্রা দেয়। ‘হৃদয়ের নামতা’ কবিতায় তিনি বিকেলের রোদ, হারানো তরুণী এবং প্রাক্তন প্রেমিকার স্মৃতিচারণ করেন, যা তাঁর বর্তমানকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
"বিকেলের রোদ কমে গেলে হাজির হয় মহাগোধূলি, আমার মনের ভেতর খেলা করে হারিয়ে যাওয়া সেই তন্বী তরুণী- আমার প্রাক্তন প্রেমিকা। কালো অঙ্গারের গন্ধে আমি নিজেই যেন আগুন হয়ে জ্বলতে থাকি।"
এখানে গোধূলি এবং হারানো প্রেমিকার স্মৃতি কবির মনের ভেতরের জ্বালা এবং অতিতের প্রভাবকে নির্দেশ করে। কালো অঙ্গারের গন্ধ যেন ফেলে আসা জীবনের দহন ও যন্ত্রণার প্রতীক।
তাঁর কবিতায় সময়ের প্রবাহ এবং জীবনের অনিশ্চয়তা এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ‘অন্ধকারও শব্দ করতে জানে’ কবিতায় তিনি বলেন, "তোমার ঘরে ছিমছাম এটাওটা খাটের পাশাপাশি দোলনা চেয়ার মাঝে মধ্যে সখেদে সুরবাহার বাজাও, বাজে সিন্থেসাইজারঃ সময়ের কতো কিছু মুছে দেয় এরেজার ।"
এখানে সুরবাহারের মতো ধ্রুপদী যন্ত্রের পাশে সিন্থেসাইজারের ব্যবহার সময়ের পরিবর্তন এবং যান্ত্রিকতার অনুষঙ্গ। সময়ের 'এরেজার' দিয়ে অনেক কিছুই মুছে যায় – এই চিত্রকল্পটি জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্ব এবং সময়ের নিষ্ঠুরতাকে তুলে ধরে।
‘কাল নিরবধি’ কবিতায় ‘বীজগনিতের শেষ পাতা দেখার আগেই / নতুন বীজগনিত এসে হাজির হয়। / কোথায় ছুটছে জ্যোৎস্নার নদী- / জানি আমি, জানি ঢের, কাল নিরবধি।’ – এই অংশটি জীবনের নিরন্তর পরিবর্তন, নতুনত্বের আগমন এবং সময়ের অনন্ত গতিকে নির্দেশ করে। জীবনের হিসেব মেলানোর আগেই নতুন সমস্যা হাজির হওয়া সময়ের এক কঠিন বাস্তবতা।
গাউসুর রহমান তাঁর নিজস্ব কাব্যশৈলী ও গভীর জীবনবোধের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য জগতে এক স্বতন্ত্র স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর কবিতা কেবল নিছক সাহিত্যিক সৃষ্টি নয়, বরং তা জীবনের জটিলতা, আনন্দ, বেদনা, প্রেম, বিচ্ছেদ এবং অস্তিত্বের গভীরতম অন্বেষণের এক জীবন্ত দলিল। তিনি ভাষা, উপমা, চিত্রকল্প ও প্রতীকের সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁর অনুভূতি ও ভাবনাগুলোকে পাঠকের হৃদয়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর কবিতায় মানবিকতা, সমাজচেতনা এবং ব্যক্তি মানুষের অন্তর্দন্দ্বের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা আমাদের নিজেদের জীবনকে আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে। সময়ের ক্লান্তি, প্রেমের দহন, স্মৃতির বেদনা এবং অস্তিত্বের শূন্যতা – এই সবকিছুর মধ্য দিয়েই তিনি এক অমোঘ জীবনবোধের প্রবক্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর কবিতা তাই কেবল আজকের সাহিত্যপাঠ নয়, বরং আগামী দিনেরও এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে। গভীর জীবনবোধের কবি গাউসুর রহমান তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আমাদের মনে এক স্থায়ী আলোড়ন সৃষ্টি করেন, যা জীবনকে নতুনভাবে দেখতে ও বুঝতে শেখায়।
লেখক: সরকারি কলেজ শিক্ষক।
১৯০ বার পড়া হয়েছে