মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ শেষ সাক্ষীকে জেরা

সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:১৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে আজ জেরা করবেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে এ জেরা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর। তিনি এই মামলার ৫৪তম ও সর্বশেষ সাক্ষী। জবানবন্দিতে তিনি জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড এবং ৫০টিরও বেশি জেলায় যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
আলমগীরের সাক্ষ্য চলাকালে ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন ভিডিও ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যার মধ্যে ছিল যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদন, বিবিসি, আল-জাজিরা এবং ‘আমার দেশ’-এ প্রচারিত বিভিন্ন চিত্র। ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের হত্যাযজ্ঞের ভিডিওসহ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর তিন লাখ পাঁচ হাজার গুলি ছোড়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অনেকে।
এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৮ সেপ্টেম্বর, এবং এখন পর্যন্ত মোট ২৫ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার অন্যতম আসামি ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশন মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে ২,০১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, ৪,০০৫ পৃষ্ঠা জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ এবং ২,৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকা। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে।
সর্বশেষ সাক্ষীর জেরা শেষ হলেই যুক্তিতর্ক ও রায় পর্বে প্রবেশ করবে এই বহুল আলোচিত মামলাটি।
১০৭ বার পড়া হয়েছে