সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

'ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের সাথে পশুর মতো আচরণ করেছে'

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:১৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ অভিযান থেকে আটক হওয়া পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বহু আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মীর সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ইস্তাম্বুলে ফেরত আসা অধিকারকর্মীরা এ অভিযোগ করেন।

তুরস্কের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, গত শনিবার ১৩৭ জন অধিকারকর্মীকে ইস্তাম্বুলে ফেরত পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে ৩৬ জন তুরস্কের নাগরিক। বাকিরা যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, মালয়েশিয়া, কুয়েত, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।

ফেরত আসা মালয়েশিয়ার অধিকারকর্মী হাজওয়ানি হেলমি সাংবাদিকদের জানান, “ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের পশুর মতো আচরণ করেছে। আমাদের খাবার, পানি, এমনকি ওষুধও দেওয়া হয়নি। টয়লেটের পানি খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে।”

তুরস্কের সাংবাদিক এরসিন সেলিক দাবি করেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতন করেছে, তাঁকে মাটিতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খাওয়ানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অধিকারকর্মী উইন্ডফিল্ড বিবার বলেন, “গ্রেটাকে প্রোপাগান্ডার অংশ বানানো হয়েছে। তাঁকে একটি কক্ষে ধাক্কা দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির।”

ইতালির সাংবাদিক লরেঞ্জো আগোস্তিনো বলেন, “গ্রেটা একজন সাহসী তরুণী। মাত্র ২২ বছর বয়সে তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে। তাঁকে ট্রফির মতো প্রদর্শন করা হয়েছে।”

তুরস্কের টেলিভিশন উপস্থাপক ইকবাল গুরপিনার জানান, “তিন দিন আমাদের না খাইয়ে রাখা হয়। প্রচণ্ড গরমে আমরা প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, গাজার মানুষ কী অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।”

তুরস্কের অধিকারকর্মী আয়চিন কানতুগলু বলেন, “ইসরায়েলি বন্দিশালার দেয়ালে রক্তমাখা লেখা ছিল—অনেক মায়েরা তাঁদের সন্তানের নাম লিখে গেছেন। এটা ছিল হৃদয়বিদারক।”

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানিয়েছেন, ইতালির ২৬ নাগরিককে ফেরত আনা হয়েছে, তবে আরও ১৫ জন এখনো ইসরায়েলে আটক রয়েছেন।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা আদালাহ জানিয়েছে, আটককৃতদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাত বাঁধা অবস্থায় বসিয়ে রাখা হয়, তাদের খাদ্য, পানি, ওষুধ, এমনকি আইনজীবীর সহায়তাও দেওয়া হয়নি।

তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগগুলোকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন