ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব নৌযান আটক, জীবনের ঝুঁকিতে এক্টিভিস্টরা

রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্বব্যাপী আলোচিত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অভিযান গত কয়েক দিনে নতুন মাত্রা পেয়েছে। চলতি বছরের সবচেয়ে বড় নৌবহর হিসেবে ৪০টির বেশি জাহাজ ও প্রায় ৫০০ এক্টিভিস্ট নিয়ে ১-৩ অক্টোবর গাজার দিকে যাত্রা করে এই বহর।
কিন্তু আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী এইসব নৌবহর একের পর এক আটকায়, বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, চিকিৎসক, এমপি ও পরিবেশকর্মীকে গ্রেফতার বা ডিপোর্ট করে; ইতোমধ্যে ১৩৭ জনকে তুরস্কে ডিপোর্ট করা হয়েছে এবং বেশিরভাগই নিজ নিজ দেশে ফেরত গেছেন. বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা এই অবস্থানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ইউরোপ, তুরস্ক, দক্ষিণ আমেরিকা—বিশ্বজুড়ে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে, গাজা লক্ষ্য করা বাংলাদেশের প্রতিনিধি, দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম রয়েছেন ‘Conscience’ নামের ফ্লোটিলা জাহাজে. ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ খবরে তিনি নিরাপদ, আটক হননি এবং নিয়মিত ভিডিও বার্তা ও সাংবাদিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন যে, তিনি ও তাঁর বহরের অন্য সদস্যরা কয়েকটি নৌকাসহ এগিয়ে চলেছেন, তবে গাজার দিকে প্রবল ইসরায়েলি নজরদারি, রেড জোন উপকূল ও অবরোধ এলাকা ঘিরে আছে। শহিদুলের মূল বার্তা—এই অভিযান শুধু ত্রাণ নয়, অবরোধ ভাঙার প্রতীক; তিনি বিশ্ব গণমাধ্যমকে জানান দিচ্ছেন গাজার মানবাধিকার লঙ্ঘন, শিশুদের অপুষ্টি ও চরম মানবিক দুর্দশার কথা।
বাংলাদেশের সরকার শহিদুলের অবস্থা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে এবং তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ফোরামে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। দেশে-বিদেশে তাঁর সাহস ও মানবিক সচেতনতার জন্য প্রশংসা চলছে, এবং আরও বহু দেশ-বিদেশী নাগরিক ‘ফ্লোটিলা’র মুক্ত ও নিরাপদ গন্তব্য কামনা করছে। সামগ্রিকভাবে, ফ্রিডম ফ্লোটিলা আটকিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের মানবাধিকার ও গণমাধ্যম স্বাধীনতা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, কিন্তু শহিদুল আলম এখনও চোখ রাখছেন গাজার উপকূলের পথে—আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার নতুন দলিল হয়ে.ফ্রিডম ফ্লোটিলার সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে গাজার দিকে যাত্রাকরা সব নৌযানই (৪০-এর বেশি) আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে আটকানো হয়েছে, এবং ১৩৭ জন এক্টিভিস্টসহ অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীকে তুরস্ক ও নিজ নিজ দেশে ডিপোর্ট করা হয়েছে। বিশ্বের নানা স্থানে প্রতিবাদ চললেও, ইসরায়েল এসব অভিযানের সকল মানবিক নৌবহরকে গাজার পৌঁছাতে দেয়নি; তাদের ভাষায়- ‘নিরাপত্তা ও আইনি বাধ্যবাধকতা’র কারণ দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম ‘Conscience’ নামক জাহাজে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, এবং ৪ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি নিরাপদ ও অভিযানে সক্রিয় আছেন বলে সর্বশেষ সূত্রে জানা গেছে।
তিনি ও তাঁর সহযাত্রীরা এখনও গাজার উপকূলের কাছাকাছি আছেন, নিয়মিত ভিডিও ও লেখার মাধ্যমে জানাচ্ছেন—তাঁদের উদ্দেশ্য কেবল খাদ্য-ত্রাণ নয়, বরং অবরোধ বিরোধী বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলা এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতির বার্তা ছড়ানো. বাংলাদেশ সরকার ও দেশবাসী তাঁর অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে নজরদারি করছে, প্রশংসা জানাচ্ছে, এবং শহিদুলের নৌবহর এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর সরাসরি আটক/হামলার শিকার হয়নি। বিশ্বব্যাপী গাজার মানবিক বিপর্যয়, গণমাধ্যম স্বাধীনতা আর অবরোধ-বিরোধী ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন শহিদুল আলম।
১১৯ বার পড়া হয়েছে