সর্বশেষ

সারাদেশ

গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত উপসর্গ ৭ জনের, আতঙ্কে স্থানীয়রা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২:৩২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস কাটাকাটির পর কমপক্ষে সাতজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা গাইবান্ধা শহরের রাবেয়া ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে চিকিৎসা নিতে গেলে বিষয়টি সামনে আসে।

ক্লিনিকের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনজুরুল করিম জানান, রোগীদের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের প্রাথমিক উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি তাদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত হাসপাতাল সূত্রে কারও ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।

আক্রান্তদের সবার বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত গ্রামে কয়েকদিন আগে একটি অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত গরু জবাই করা হয়। সেই গরুর মাংস কাটাকাটি ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনের মধ্যেই মূলত উপসর্গ দেখা দেয়।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. রকিবুজ্জামান বলেন, “যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা ইতিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত গুরুতর আক্রান্ত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তবে যদি কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গরু জবাইয়ের চারদিন পর থেকেই কিশামত গ্রামের প্রায় ১১ জনের মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ দেখা দেয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পাশের রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে তা সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা এবং পৌরসভা এলাকাগুলো আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এছাড়া, বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর ও পৌরসভা এলাকায় ইতিমধ্যে প্রতিরোধমূলক টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোজাম্মেল হক জানান, “আমাদের কাছে ১৩ হাজার ডোজ অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধী টিকা রয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সতর্ক করে জানিয়েছে, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত কোনো পশু জবাই করা উচিত নয়, কারণ এ রোগ মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত পশুর চামড়া বা মাংসের সংস্পর্শ এড়াতে স্থানীয়দের সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

১৪১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন