খাগড়াছড়ির অস্থিরতায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি দিল্লির

শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ ৪:০৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় সম্প্রতি সংঘটিত সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পেছনে ভারতের সম্পৃক্ততার অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এই ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এমন অভিযোগ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে আত্মসমালোচনা করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে স্থানীয় উগ্রপন্থিদের সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখলের ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখা।”
এর আগে, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট করতে খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এর পেছনে ভারতের অথবা ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর ইন্ধন থাকতে পারে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ ঘিরে সহিংসতা
২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় এক কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। কিশোরীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ পরদিনই সন্দেহভাজন হিসেবে ১৯ বছর বয়সী শয়ন শীলকে গ্রেফতার করে। তবে পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি, অর্থাৎ অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
তবে রিপোর্ট প্রকাশের আগেই ওই ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালানো হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি মিথ্যা অভিযোগকে কেন্দ্র করে এমন সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত ছিল কিনা, তা তদন্তের দাবি রাখে।
১০৮ বার পড়া হয়েছে