সর্বশেষ

জাতীয়

ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচারকৃত অর্থের অংশ ফেরতের আশা অর্থ উপদেষ্টার

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৮:২৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তবে তিনি ঠিক কত টাকা ফেরত আসবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেননি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “টাকা পাচারকারীরা খুব বুদ্ধিমান। তাই অর্থ ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। তবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু টাকা দেশে ফেরত আসতে পারে বলে আশা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই প্রক্রিয়া কোনো সরকার উপেক্ষা করতে পারবে না। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রক্রিয়া। সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা ফেরত চাইলে দেবে না। এর জন্য লিগ্যাল প্রসেস অনুসরণ করতেই হবে।”

ড. সালেহউদ্দিন জানান, বর্তমানে প্রায় ১১-১২টি গুরুত্বপূর্ণ মামলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে। এর বাইরে যেসব মামলায় ২০০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে, সেগুলোও নজরদারিতে রয়েছে।

নতুন সরকার এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “রাখতে তারা বাধ্য। কারণ আমাদের শুরু করা প্রক্রিয়া ছাড়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব নয়।”

এ সময় তিনি আরও জানান, কিছু দেশের ব্যাংকে ইতোমধ্যে পাচারকারীদের অ্যাসেট ফ্রিজ করা হয়েছে। কোথায় তাদের টাকা, কোন দেশে পাসপোর্ট আছে, এসব তথ্য সরকারের হাতে রয়েছে।

দেশে ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবার পুষ্টিহীনতা বা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে—বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বিশেষ করে শিশু ও মায়েদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি জানান, ভিজিএফ কর্মসূচি ও বিশেষ ট্রাকের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জেলেদের জন্য মাছ ধরার মৌসুম বন্ধের সময় ২০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য কম, চালের ওপর নির্ভরতা বেশি। প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে, বিশেষ করে ডিমের মতো সহজলভ্য আমিষও অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।”

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন