রাবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শাটডাউন, শিক্ষার্থীশূন্য ক্যাম্পাস

বৃহস্পতিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পোষ্য কোটা স্থগিতের সিদ্ধান্ত ও শিক্ষক লাঞ্ছনার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে বন্ধ রয়েছে সব ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এই পরিস্থিতিতে একে একে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে, রাকসু নির্বাচন ২০ দিন পেছানোয় প্রার্থীরাও সরে দাঁড়াচ্ছেন রাকসু নির্বাচন থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন পূজার পর ১৬ অক্টোবর নতুন করে রাকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে। কমিশনের ভাষ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয় বলেই ২০ দিন সময় পেছানো হয়েছে।
শাটডাউনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এখন কার্যত অচল। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্যারিস রোড, পরিবহন মার্কেট, টুকটাকি চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। খাবারের দোকানগুলোও প্রায় ফাঁকা। কাজলা ও বিনোদপুর গেটে কিছু শিক্ষার্থী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল বলেন, "ক্লাস-পরীক্ষা তো হচ্ছেই না, আর হবেও মনে হচ্ছে না। রাকসুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কিন্তু সেটাও পিছিয়ে গেল। এখানে থেকে লাভ নেই, তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি।"
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল জানান, "আমার মেস অলরেডি ফাঁকা। সবাই চলে যাচ্ছে। আমিও আজই চলে যাচ্ছি। রাজশাহীতে থেকে এখন কী করব?"
বিনোদপুর গেটে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য বিশ্বাস বলেন,"রাজশাহীতে কিছু কাজ ছিল, তাই ছিলাম। কোটা ইস্যু এখনও মেটেনি, আবার নির্বাচনও পেছালো। পূজার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরবো।"
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে থাকা দোকানদাররাও হতাশ।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পোষ্য কোটা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে শনিবার শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তবে শিক্ষক লাঞ্ছনার সুষ্ঠু বিচার এবং কোটা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতিতে যান শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে থাকা উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পূজার ছুটি ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।
১২৪ বার পড়া হয়েছে