সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ডেনমার্কের আকাশে ফের রহস্যময় ড্রোন, বন্ধ আলবর্গ বিমানবন্দর

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:২৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ডেনমার্কের আকাশসীমায় ফের অজ্ঞাত ড্রোনের উপস্থিতিতে বড় ধরনের নিরাপত্তা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলবর্গের বিমানবন্দর এলাকায় একাধিক ড্রোন শনাক্ত হওয়ার পরপরই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এই নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ড্রোনের কারণে ইউরোপের এই দেশটিতে বিমান চলাচল বন্ধ হলো। এর আগে সোমবার কোপেনহেগেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও একই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে ড্রোনগুলোর উপস্থিতি প্রথম শনাক্ত করে কর্তৃপক্ষ। কয়েক ঘণ্টা ধরে আকাশে উড়তে থাকা এসব ড্রোনে ছিল আলো, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তোলে। ইউরোপের আকাশসীমা তদারকি সংস্থা ইউরোকন্ট্রোল জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত আলবর্গ বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল।

ডেনমার্ক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারা বা কোন উদ্দেশ্যে এসব ড্রোন পরিচালনা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে সম্ভাব্য বিপদ বিবেচনায় ড্রোন ভূপাতিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

বিষয়টি আরও উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে কারণ আলবর্গ বিমানবন্দর একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ফলে সশস্ত্র বাহিনীও এ ঘটনায় প্রভাবিত হয়েছে। শুধু আলবর্গই নয়, একই সময়ে পশ্চিমাঞ্চলের এসবিয়ার্গ, সোনডারবর্গ এবং স্ক্রিডস্ট্রুপ এলাকার বিমানবন্দর ঘিরেও ড্রোন দেখা গেছে। বিশেষ করে স্ক্রিডস্ট্রুপ ঘাঁটিতে রয়েছে ডেনমার্কের গুরুত্বপূর্ণ এফ-১৬ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এক বিবৃতিতে জানান, এসব ঘটনায় রাশিয়ার সম্পৃক্ততা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “আমরা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ একে “অমূলক” বলে দাবি করেছেন।

এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, “এটি আমাদের সীমান্তে চলমান নিরাপত্তা হুমকির অংশ। ইউরোপের অবকাঠামো এখন ঝুঁকির মুখে রয়েছে, এবং এর জবাবে শক্ত অবস্থান নেওয়া হবে।”

ড্রোন ইস্যুটি শুধু ডেনমার্কেই সীমাবদ্ধ নয়। চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার ড্রোন প্রবেশের ঘটনায় পোল্যান্ডের চারটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হয়। একই ধরনের ঘটনা ঘটে নরওয়ের ওসলো বিমানবন্দরেও, যেখানে তিন ঘণ্টার জন্য কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিল।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ড্রোন তৎপরতা ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি নতুন মাত্রার হুমকি হয়ে উঠছে। ফলে নেটো সদস্য দেশগুলো ইতোমধ্যেই সীমান্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন