সর্বশেষ

সারাদেশ

শ্রীমঙ্গলে পেট্রোবাংলার তেলের পাইপলাইনে ভয়াবহ আগুন; দগ্ধ ২

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট প্রতিনিধি

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২:৫৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের শাসন কদমতলা এলাকায় পেট্রোবাংলার তেলের পাইপলাইন লিক হয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয়রা তেলের পাইপলাইন থেকে তেল লিক হতে দেখতে পান। তারা সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত পাহারাদারকে জানালে তিনি দ্রুত তেলের প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই বিপুল পরিমাণ তেল চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই আগুন ধরে যায় পাইপলাইনে ছড়িয়ে পড়া তেলে। মুহূর্তের মধ্যেই প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুরো এলাকায়। আগুনে আশপাশের ছড়ায় থাকা মাছ মারা যায়, এবং মাছ ধরতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হন এক ব্যক্তি ও তার ছেলে।

দগ্ধরা হলেন ভূনবীর এলাকার বাসিন্দা বশির মিয়া (৫০) ও তার ছেলে রেদোয়ান (২৪)। প্রথমে তাদের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে সেখান থেকে তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে এবং রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ওয়ারহাউসের ইন্সপেক্টর সোলেমান আহমেদ জানান, আগুনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চারটি ইউনিট পাঠানো হয় এবং দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনও দ্রুত মাঠে নামে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পেট্রোবাংলা ও সেভরন কোম্পানির একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে এবং পাইপলাইনের লিকেজ ও আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা নির্ধারণে তদন্ত করবে। একই সঙ্গে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা হবে।

এদিকে, এলাকাবাসীর অনেকে এই ঘটনায় নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অতীতেও এই অঞ্চলে তেল চোর চক্রের তৎপরতার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বর্তমানে পুরো এলাকা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

১৩০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন