রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে অনির্দিষ্টকালের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি।
পোষ্য কোটাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে, ক্যাম্পাস এখন প্রায় ফাঁকা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এই কর্মসূচি। প্রশাসন ভবনের সামনে চেয়ার পেতে অবস্থান করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেশিরভাগ দপ্তরে তালা ঝুলছে, যদিও কিছু অফিস আংশিক খোলা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল, টুকিটাকি চত্বর ও পরিবহন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে—কিছু কিছু শিক্ষার্থী এলেও, স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “২০ তারিখের ঘটনায় আমাদের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এর প্রতিবাদেই আমরা এই কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছি। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আবু মো. তারেক বলেন, “আমাদের দাবি খুবই পরিষ্কার—লাঞ্ছনার ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা হবে না।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও, প্রশাসনের পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। শনিবার বিকেলে জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হাতাহাতির ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এরপর থেকেই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও অফিসার সমিতির যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু হয়। ফলে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে রাকসু নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন করে আগামী ১৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৩৮ বার পড়া হয়েছে