ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ সিজারিয়ান

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক ঘাটতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে।
ফলে গর্ভবতী নারীরা বাধ্য হয়ে দুর থেকে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে, যা তাদের চিকিৎসা ব্যয় বাড়াচ্ছে এবং মা ও নবজাতকের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর যাবত সিজারিয়ান সেবা বন্ধ রয়েছে। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য চার উপজেলাতেও। এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ এবং গাইনী চিকিৎসকের অভাবে এই সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ এসব হাসপাতালেই আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসূতি শিরিন আক্তার জানান, “সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেলে খরচ কম হতো। কিন্তু এখন অন্যত্র যেতে হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসক সঠিক সময়ে থাকেন না।”
কালীগঞ্জের কৃষক রহমত আলী বলেন, “সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেলে আমরা কোথায় যাব? গরিব মানুষদের জন্য এটা দুঃখের বিষয়।”
হরিণাকুন্ডুর গৃহবধূ ফারজানা খাতুনও অভিযোগ করেন, “বেসরকারি ক্লিনিকে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়, যা গরিব মানুষ কিভাবে বহন করবে বুঝতে পারছি না। তবুও বিকল্প নেই।”
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান জানান, “সকল উপজেলায় অপারেশনের যন্ত্রপাতি প্রস্তুত থাকলেও চিকিৎসক সংকট একটি বড় সমস্যা। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে আবার সিজারিয়ান সেবা চালু করা সম্ভব হবে।”
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, যদি চিকিৎসক থাকতেন তাহলে মাত্র এই পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই মাসে প্রায় ২০০ জন প্রসূতী সরকারি সেবা পেতেন। দীর্ঘ দিন সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় দরিদ্র পরিবারগুলো কঠোর ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।
১৭০ বার পড়া হয়েছে