দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ দিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান

শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:১২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন,
“আমরা সড়কে দুর্ঘটনা দেখতে চাই না, আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাই।
এজন্য বিআরটিএ কাজ করছে এবং আমাদের এ প্রচেষ্টায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি এ কথা বলেন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ডের তহবিল থেকে নিহত পাঁচ পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা এবং এক আহত ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেকপ্রাপ্তরা হলেন:
নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে:
নাজমা খাতুন, শোহানা খাতুন, আব্দুল খলিল সরদার, অপূর্ণা রেজা ও ফাতেমা খাতুন
আহত ব্যক্তি:
জুলফিকার আলম
সভাপতিত্ব ও অতিথিবৃন্দ:
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
বিআরটিএ খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত হাসান খান
বিআরটিএ সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) ফারুক আহমেদ
সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক উসমান সরওয়ার আলম
বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সোবহান খোকন
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ সাতক্ষীরা অফিসের মোটরযান পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ওবায়দুর রহমান, এবং উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন।
চেয়ারম্যানের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু:
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মানুষ নিহত হলে তার পরিবার চরম অসহায় হয়ে পড়ে। কেউ আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করলে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।
সরকার দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিতে আইনগত কাঠামো তৈরি করেছে এবং সে অনুযায়ী ট্রাস্টি বোর্ড থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেয়ে দুর্ঘটনা প্রতিরোধই সবচেয়ে জরুরি। এজন্য সবাইকে সচেতন হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বক্তাদের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইজিবাইক ও আলমসাধুর চলাচল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে। এসব যানবাহনের বেশিরভাগের বেল ও ব্রেক কার্যকর নয়।
চালকদের মাদকসেবন রোধে মালিকপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে যাতে তারা নিয়ম মেনে চলাচল করে।
বেনাপোলের মতো ভোমরা বন্দরে যাত্রী পরিবহনে বাস সার্ভিস চালুর দাবি তোলা হয়।
১১৬ বার পড়া হয়েছে